শার্শায় আমের কেজি ২০ টাকা দিশেহারা চাষী - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১২:৫৩, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

শার্শায় আমের কেজি ২০ টাকা দিশেহারা চাষী

ADMIN, USA
প্রকাশিত মে ২৪, ২০২১
শার্শায় আমের কেজি ২০ টাকা দিশেহারা চাষী

 

এম এ রহিম বেনাপোল
দেশের দক্ষিনপশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ আমের মোকাম শার্শার বাগুড়ীতে জমজমাট হয়ে উঠেছে আমের কেনাবেচা। কমে গেছে দাম। ২০থেকে ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচেছ,নেংড়া গোপালভোগ সহ বিভিন্ন প্রকার আম। চলতি মৌসুমে আমের উৎপাদন ও আমদানি বাড়ায় কমেছে দাম। দিশেহারা চাষী। ব্যাবসায়িদের কারসাজিকে দুষছেন চাষীরা। চাষী আরমান আলী ও গফ্ফার আলী বলেন কিছু ব্যাবসায়িরা ওজনে নিচ্ছেন বেশী। কমদামে আম কিনেন বেশী দামে বিক্রি করছেন। ফলে দায়দেনা করে আমচাষে লোকসানের মুখের পড়ছেন তারা। তবে অনেক চাষী আগাম আম বাজারে বেশীদামে বিক্রি করে হয়েছেন লাভবান।
আম ব্যাবসায়ি প্রভাষক আক্তারুজামান বলন,স্থানীয় গাছের আম দিয়ে ২০০১সালে শার্শা উপজেলার বাগআচড়া বাগুড়ী বেলতলাতে গড়ে ওঠে আমের হাট। সাতক্ষিরার কলারোয়া ঝিকরগাছা শার্শা চৌগাছা সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাটে আসে আম। ঢাকা চিটাগাং শেরপুর সহ দেশের বিভন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা আসে হাটে। প্রতিদিন রফতানি হয় কোটি কোটি টাকার লাখ লাখ মন আম। তবে ঈদের আগে প্রতিমন আম ২৩শথেকে২৬শ টাকায় বিক্রি হলেও ঈদের পরে অর্ধেকের বেশী কমে গেছে দাম। ৮শ থেকে ১৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ক্যারেটের আম। দাম না পাওয়ায় হতাশায় চাষী ও ব্যাপারীরা।বাজার মিনিটরিংয়ের কথা জানান ব্যাবসায়ি নেতারা। শেরপুর মাগুরা মেহেরপুর ও ঢাকা থেকে আসা বেপারীরা বলেন বাজারে রাজশাহীর ফুলো আম উঠায় কমেছে দাম। তারপরও লকডাউনের কারনে বাজার মন্দা। পথে খরচ বেড়ে যাওয়ায় লসের মুখে পড়ছেন তারা।
স্থানীীয় শ্রমিকরা বলেন,আম মৌসুমে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে ভাল দিনকাটে আমহাটে কাজ করা শ্রমিকদের। ভাল উপার্জনে খুশি তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, যশোরের শার্শা বেনাপোলে আমের চাষ বেড়েছে। আমের ফলন হয়েছে ভাল। এ উপজেলায় উৎপাদিত আম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ফলে লাভবান হচ্ছে চাষী ব্যাবসায়ি ও ক্রেতা সাধারন। তবে বর্তমানে দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় কিছুচাষী সমসস্যায় পড়ছেন। আমের বাম্পার ফলনে খুশি চাষী ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
শার্শা উপজেলায় ৫৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ মাত্রা নিয়ে চাষ হয়েছে ৬শ২০ হেক্টর জমিতে। তার্গেট অতিরিক্ত জমিতে আমের চাষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
বাগুড়ী আম বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মেম্বর নাসিম রেজা বলেন,বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। অপরিপক্ষ আম আসছে না বাজারে। করোনা সু রক্ষা মেনে বাজারে কেনাবেচায় গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। আড়ৎ ব্যাবসায়িরা ২থেকে৪টাকা কমিশনে বেচাকেনা করেন বলে জানান তিনি। তবে এবার আমের আমদানি বাড়ায় খুশি ক্রেতারা। চাষীরা আগে আমের দাম ভাল পেলেও বাজার মন্দার কারনে কম পাচ্ছে দাম।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।