সম্পাদকীয়:
সিলেটে শনিবার বেশ কয়েক দফা মৃদু ভূমিকম্প হওয়ার পর বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তারা বলছেন, ঘন ঘন মৃদু ভূকম্পন বড় ভূমিকম্পের আভাস দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এর অংশ হিসাবে ঝুঁকিপূর্ণ ২২টি ভবন থেকে মানুষকে আগামী ১০ দিনের জন্য অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সমীক্ষা চালিয়ে নগরীর ২৪টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে দুটি ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাকিগুলোর মালিকদের বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও সেগুলো ভাঙা হয়নি। অথচ ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব ভবন ভেঙে ফেলার বিকল্প নেই।
আপাতত বড় ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত আবাসিক ভবনগুলোর বাসিন্দারা ১০ দিনের জন্য ভবন দ্রুত খালি করে দেবেন, এটাই কাম্য।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্পন বলয়ে অবস্থিত। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর একটি হলো সিলেট অঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০০ বছরের ‘ভূমিকম্পের সাইকেল’ অনুযায়ী এ অঞ্চলে আরও একটি উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।
কারণ, এ অঞ্চলে বড় ভূমিকম্প হওয়ার পর ইতোমধ্যে ১২৫ বছর পেরিয়ে গেছে। ভূমিকম্প মোকাবিলায় যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও জাপানের মতো উন্নত দেশে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সে তুলনায় আমাদের প্রস্তুতি ও ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সামর্থ্য অতি নগণ্য। কাজেই বড় মাত্রার কোনো ভূমিকম্পে আমাদের কী অবস্থা হবে, তা ভাবলেও রক্ত হিম হয়ে যায়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।