নিউজ ডেস্কঃ
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আবারও চরমে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব। বেজিংয়ের কড়া পাহাড়া থাকা সত্ত্বেও, বিতর্কিত জলরাশিতে সামরিক মহড়া চালাল মার্কিন নৌবহর।
জানা যায়, দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে আণবিক শক্তিসম্পন্ন বিমানবাহী মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ‘ইউ এসএস রোনাল্ড রিগ্যান’। সেটির সঙ্গে রয়েছে, গাইডেড মিসাইল ক্রুইজার ‘ইউএসএস সিলহ’ও গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘ইউএসএস হালসে’। এই রণতরীগুলিতে রয়েছে টোমাহক ক্রুজ মিসাইল-সহ আরও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র।
এদের মূল কাজ হচ্ছে, যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। মার্কিন রণতরী রোনাল্ড রেগান কার্যত একটা ছোটখাটো শহর। এতে রয়েছে কয়েক হাজার সেনাকর্মী। জাহাজটিতে রয়েছে এফ-১৮ সুপার হর্নেটের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান যা শত্রুশিবিরে কাঁপন ধরানোর জন্য যথেষ্ট।
এক বিবৃতিতে মার্কিন ফৌজ জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন নৌবহর। উল্লেখ্য, একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে থাকে সাবমেরিন, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ারের মতো বেশ কয়েকটি রণতরী। এগুলোকে মিলিয়ে বলা হয় ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’। যেহেতু মার্কিন রণতরীগুলি আণবিক শক্তি চালিত তাই তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সাগরে থাকতে সক্ষম। আর সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে চীনের। ইতিমধ্যে মার্কিন নৌবহরের উপস্থিতি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বেজিং।
বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। সদ্য সমাপ্ত জি ৭ বৈঠকের মঞ্চেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরমুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর। এবার দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার সামরিক মহড়া শুরু হওয়ায় সেই সুর আরও চড়বে।ফলে সংঘাতের দিকে আরও এগিয়ে যাবে দুই দেশ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।