২৫ বছর আগের সব যুদ্ধের দলিল অবমুক্ত করবে ভারত - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ২:৩০, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

২৫ বছর আগের সব যুদ্ধের দলিল অবমুক্ত করবে ভারত

editor
প্রকাশিত জুন ১৬, ২০২১
২৫ বছর আগের সব যুদ্ধের দলিল অবমুক্ত করবে ভারত

নিউজ ডেস্কঃ 

পঁচিশ বছর পেরিয়ে গেলেই ভারত তাদের সব যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানের কাগজপত্র, চিঠি বা ই-মেইল প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। শনিবার (১২ জুন) দিল্লির সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, যে যুদ্ধের সামরিক অঙ্গনে ভারতেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ভারতের হেফাজতে থাকা সেই সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল দস্তাবেজ ও নথিপত্র ডিক্লাসিফাই (অবমুক্ত বা প্রকাশ) করবে দিল্লি। আর যে যুদ্ধগুলোর বয়স পঁচিশ বছরেরও বেশি (যেমন একাত্তর) সেক্ষেত্রে আর্কাইভ বিশেষজ্ঞরা সেগুলো খতিয়ে দেখবেন এবং সেই যুদ্ধের ইতিহাস সংকলনের পর সব নথিপত্র ভারতের ‘ন্যাশনাল আর্কাইভস’ বা জাতীয় মহাফেজখানায় সংরক্ষণ করা হবে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ রাহুল বেদী বলেছেন, আমি যতদূর জানতে পেরেছি বাষট্টির চীন-ভারত যুদ্ধের ফাইলপত্র ছাড়া বাকি সব যুদ্ধ বা অভিযানই এই সিদ্ধান্তের আওতায় আসবে। ফলে অবশ্যই একাত্তরও তার মধ্যে পড়বে।

এই উপমহাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে একটি মাইলফলক হিসেবে ধরা হয়। সেই যুদ্ধের নানা অজানা দিক এর ফলে উন্মোচিত হবে ধরেই নেওয়া যায়। বাষট্টির যুদ্ধে চীনের কাছে ভারতের শোচনীয় পরাজয়কে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে একটি অন্যতম অগৌরবের অধ্যায় বলে ধরা হয়। ফলে সেটির নথিপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে একটা অস্বস্তি আজও কাজ করছে।

যেমন, ওই যুদ্ধে ভারতীয় সেনার ভূমিকা নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছিল হেন্ডারসন-ব্রুকস-ভগত কমিশন, যার বিষয়বস্তু আজ ছয় দশক পরেও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে একাত্তরের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও সমস্যা নেই; বরং শুধু মুক্তিবাহিনী নয়, সেটি ছিল ভারতীয় সেনার জন্যও গর্বের মুহূর্ত। কিন্তু সেই যুদ্ধের সব দলিল অবমুক্ত হলে নতুন কী তথ্য জানা যেতে পারে?

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন:

ক) তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ (‘স্যাম বাহাদুর’) যুদ্ধের জন্য কী ধরনের কৌশল ঠিক করেছিলেন বা অধস্তন কর্মকর্তাদের কী ধরনের নির্দেশ পাঠাচ্ছিলেন?

খ) মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও অস্ত্র সাহায্যের পেছনে কী ধরনের পরিকল্পনা ছিল?

গ) যুদ্ধের পরিকল্পনায় কলকাতায় ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ারের প্রধান জগজিৎ সিং অরোরার অবদান কী ছিল?

ঘ) আত্মসমর্পণে পাকিস্তানি সেনাকে বাধ্য করার ক্ষেত্রে ভারতের আর একজন জেনারেল জে এফ আর জেকবের ভূমিকা নিয়েও নানা রকম তর্কবিতর্ক আছে–কিন্তু আসল সত্যিটা কী?

ঙ) বঙ্গোপসাগরে পাকিস্তানি ডুবোজাহাজ পিএনএস গাজীর ধ্বংস হওয়ার পেছনে আসল রহস্যটা কী?

চ) যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতের সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে সেনাবাহিনী কী ভেবেছিল? পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেই বা তাদের কী মত ছিল?

এবং এরকম আরও বহু বিষয়, যার সুস্পষ্ট উত্তর এখনও খুব ভালোভাবে জানা নেই।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।