যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৫তম স্বাধীনতা দিবস আজ : করোনা মুক্তির উৎসব পালন
০৪ জুলা ২০২১, ০৫:৩৯ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৫তম স্বাধীনতা দিবস আজ। ১৭৭৬ সালের এই দিনে ১৩টি উপনিবেশের কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করে। অবশ্য এর দুই দিন আগেই প্রতিনিধিরা ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেন।
প্রতি বছর ৪ জুলাই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে দিবসটি উদ্যাপন করে মার্কিনিরা। স্বাধীনতা দিবসের আডোজনে স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। এই স্ট্যাচু অব লিবার্টি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের উত্সবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় বিশাল জনসমাবেশ, কুচকাওয়াজ এবং কনসার্ট। চোখ ধাঁধানো আতশবাজিও থাকে অন্যতম আকর্ষণ। করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে গতবার ম্লান হয়ে গিয়েছিল স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপন। তবে এ বছর স্বাধীনতা দিবসের কিছু উদ্যাপন দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে করোনা মুক্তির উৎসব পালন করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে এক হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম এত অতিথি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন বাইডেন। যদিও করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ বাড়ছে। খবর সিএনএনের।
স্থানীয় সময় রবিবার (৪ জুলাই) হোয়াইট হাউজের সাউথ লনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ন্যাশনাল মলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আতশবাজির খেলা। আমন্ত্রিত অতিথিদের বেশির ভাগ সামরিক বাহিনী এবং জরুরি স্বাস্থ্যকর্মী। তারা পরিবার নিয়েও আসতে পারবেন। করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দেওয়ার কারণে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই এই সম্মান দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, অনুষ্ঠানে আগতদের আসার আগে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। যারা টিকা নেননি তাদের অনুষ্ঠানে মাস্ক পরতে হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এমন সময় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন যখন কর্মকর্তারা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করছেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন চেয়েছিলেন, ৪ জুলাইয়ের আগে ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক বা ১৬০ মিলিয়ন আমেরিকানকে অন্তত টিকার এক ডোজ দিতে। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত ৬৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে সিডিসি জানিয়েছে। করোনা প্রতিরোধে চেষ্টা চলছে বিভিন্নভাবে। টিকা কম বা না নেওয়া এলাকাগুলোতে জরুরি ব্যবস্থায় কাজ করা হচ্ছে।