নিউজ ডেস্কঃ
পশ্চিম ইউরোপে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত শতাব্দীর সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে জার্মানিতে। ঘটেছে গ্রাম ডুবে যাওয়া, ভবন ধসের মতো ঘটনা। এ পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া ৪৬ জনের ৪০ জনই জার্মানির। নিখোঁজ রয়েছেন দেশটির আরও ৭০ নাগরিক। নিহতদের বাকি ৬ জন বেলজিয়ামের। লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডসও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জার্মান আবহাওয়া সেবার (ডিডাব্লুডি) মুখপাত্র আন্দ্রেয়াস ফ্রেডরিক বলেছেন, ‘কয়েকটি অঞ্চলে এত বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যা আমরা গত ১০০ বছরেও দেখিনি। কিছু অঞ্চলে বর্ষণের পরিমাণ রেকর্ডের দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। এতে দুর্ঘটনাক্রমে কিছু ভবনও ধসে পড়েছে।’
ফ্রেডরিক আরও বলেন, জার্মানির উত্তর অঞ্চল রাইন-ওয়েস্টফালিয়া, রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট এবং সরল্যান্ড সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যর্কেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেবার্ট টুইটারে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘বন্যা কবলিত এলাকায় এত লোককে ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে দেখে আমি হতবাক হয়েছি। নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশিত করছি।’
আঙ্গেলা ম্যর্কেল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা চ্যান্সেলর ম্যর্কেলের পদ ত্যাগের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এটি শেষ সাক্ষাৎ।
এদিকে বৃহস্পতিবার উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ প্রার্থী আর্মিন লাশেত বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী লাশেত বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কেবল একটি রাষ্ট্রের সীমাবদ্ধ বিষয় নয়। ইউরোপীয়, ফেডারেল এবং বৈশ্বিক স্তরের জলবায়ু রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারলে আমাদের বারবার এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।