নিউজ ডেস্কঃ
করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রাজধানীবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার বিধি নিষেধ আরোপের পাশাপাশি নানা ধরণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। চলমান লকডাউনে যাতে আসন্ন ঈদ উল আযহাকে উপলক্ষ করে কোরবানীর পশুর হাটে রাজধানী বাসীর চলাচল সীমিত হয় সেই লক্ষ্যে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার অনলাইনে ডিজিটাল হাট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
রবিবার (৪ জুলাই) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চালু করেছে ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রী নিজেই একটি গরুও কিনে ফেলেন। মন্ত্রীর কেনা গরু থেকে শুরু করে বিগত এক সপ্তাহে (১০ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেব মতে) প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার পশু বিক্রি হয়েছে এই ডিজিটাল হাট থেকে।
ডিজিটাল হাটের সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাবের) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান গত একসপ্তাহে তারা ১৬০টি গরু, ২৩ টি ছাগল ও ৬টি ভেড়াসহ ১৮৯টি পশু বিক্রি করেছেন। যার দাম প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
শোভন জানান, গত এক সপ্তাহের মধ্যে হাটের পঞ্চম দিন শুক্রবারের ক্রেতা সমাগম ছিলো চোখে পড়ার মত। কারণ শুধু এইদিনই ৪৭টি গরু, ৬টি ছাগল বিক্রি হয়েছে। যার বিক্রি মুল্য ছিলো চার লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। যা এই ৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ বিক্রি বলে জানান তিনি।
ই-ক্যাব এর দেওয়া তথ্যমতে, গত ৭ দিনে প্রায় ৩ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী এই অনলাইন হাটে ভিজিট করতে এসেছে। যার মধ্যে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি ভিজিটর আসছে এই সাইটে।
গরু কেনা ছাড়াও এই ডিজিটাল হাট থেকে অনলাইনেই কসাই সেবা নেওয়া যাবে। এই ক্ষেত্রে প্রতি গরু লাইভ ওজনে ৬৫ টাকা কেজি এবং ছাগল ৯০ টাকা কেজি হারে স্লটারিং চার্জ প্রযোজ্য হবে। কসাই সেবা বুকিং এর পর ক্রেতার সাথে হাট কর্তৃপক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে। এই সেবার পরিসীমা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। গরু ডেলিভারি সেবার বিস্তৃতি হবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা যে যে এলাকায় ডেলিভারি দিতে পারবেন তার উপর নির্ভর করবে বলেও জানান।
ইক্যাব থেকে জানানো হয়, গতবার ৪৫টি মেম্বারসহ মোট ৬০ জন মার্চেন্ট এবং এবার ই-ক্যাব ও ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন মিলে ১০০’রও বেশী মার্চেন্ট ছিলো। গতবছর দেশব্যাপী ২৭ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার তা আরো অনেক বাড়বে।
উল্লেখ্য, গতবারের মত এবারও ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন। সহযোগিতায় বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, এটুআই-একশপ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।