নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিকরা। শনিবার সিডনিতে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করে লকডাউন প্রত্যাহারের দাবি জানান। ছোট আকারের বিক্ষোভ হয়েছে মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে অন্তত ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাঁচ শতাধিককে জরিমানা করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
রবিবার নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের লজ্জিত হওয়া উচিত। রাজ্যের লাখ লাখ মানুষ সঠিক কাজ করছেন। এই বিক্ষোভকারীরা নিজেদের নাগরিকদের অবজ্ঞা করায় আমার মন ভেঙে গেছে।
রাজ্যটিতে রবিবার ১৪১ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যা এই বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শনিবারের বিক্ষোভের পর আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুলাই।
সম্প্রতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকবিলায় পুনরায় বিধিনিষেধ জারির পর অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ আবারও লকডাউনের আওতায় পড়েছেন।
দেশটির মাত্র ১৪ শতাংশের কম মানুষ পুরোপুরি টিকা নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় টিকাদানের হার অনেক কম।
টিকা কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নর্থ সাউথ ওয়েলসকে আরও ডোজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে টিকাদানকে বিঘ্নিত কার যাবে না। আক্রান্তের সংখ্যা কমে গেলেই কেবল লকডাউন প্রত্যাহার করা হবে।
শনিবার বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ‘স্বার্থপর’ এবং ‘নিজেরাই-পরাজিত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভের ফলে লকডাউন আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে মাত্র।
রবিবার সিডনি পুলিশ জানায়, বিক্ষোভের সময় পুলিশের ঘোড়াকে আঘাতের জন্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩৩ ও ৩৬ বছর বয়সের এই দুই ব্যক্তির আজ আদালতে হাজির হওয়ার কথা।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।