আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের পিপি ফরিদুল আলমের সঙ্গে এজলাসে প্রবেশ করেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। প্রথমে জেরা শুরু করেন প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত। এরপর জেরায় অংশ নেন লিয়াকত আলীর আইনজীবী চন্দন দাশ। জেরার একপর্যায়ে বেলা সোয়া দুইটার দিকে আদালতের কার্যক্রমে এক ঘণ্টার জন্য বিরতি দেন বিচারক। বেলা সাড়ে তিনটায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা পুনরায় শুরু হয়।
বিচারকাজে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলেন, শারমিন শাহরিয়ার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে আদালত দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে থাকা ভিডিও দলের সদস্য সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার সুযোগ দিতে পারেন আদালত। সাহেদুল সকাল থেকেই আদালতে। এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। পুলিশের মামলায় ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তাঁর ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকেও আটক করে পুলিশ। পরে নুরকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সাহেদুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।
ঘটনার পাঁচ দিন পর, অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া। চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে প্রদীপ ও রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে আনা হয়েছিল।