বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ডাভিডিয়ান ভিডিও কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ইসলামের কাঠামোর মধ্যে থেকে নারীদের অধিকার রক্ষা করা হবে—এ কথা বারবার বলেছে তালেবান। তবে প্রতিদিনই নারী অধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আফগানিস্তানে নারী অধিকার লঙ্ঘনের কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে জাতিসংঘের এই মুখপাত্র বলেন, পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে ছাড়া নারীদের একাকী ঘরের বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কয়েকটি প্রদেশে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার কাবুল দখলের তিন সপ্তাহ পর কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের নিয়ে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। এই সরকারে স্থান মেলেনি কোনো নারীর। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডাভিডিয়ান বলেন, তালেবান যে একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে যায়, তা নতুন সরকার ঘোষণার মধ্য দিয়ে তারা তুলে ধরতে পারত। তবে তালেবান এ সুযোগ হারিয়েছে।
তবে এখনো তালেবানের নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন ডাভিডিয়ান। তিনি বলেন, এখন তালেবানকে এটা দেখাতে হবে যে তারা আফগানিস্তানের সব মানুষের জন্য কাজ করবে।
নারীদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তালেবানের বদনামের শেষ নেই। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আগের মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় নারীদের নানা নিপীড়নের শিকার হতে হয় কট্টরপন্থী এ সংগঠনের কাছে। সেই তালেবান আবার ক্ষমতায় আসার পর শঙ্কায় রয়েছেন দেশটির নারী ও অধিকারকর্মীরা।