অধিনায়ক সের্হিও বুসকেতস সেটি অস্বীকার করেননি। মেসির বার্সা ছেড়ে দেওয়া তাঁর অন্য সতীর্থরা যেন মেনেই নিতে পারছেন না, ‘পুরো ব্যাপারটিই ছিল আমার ও দলের খেলোয়াড়দের জন্য বড় ধাক্কা। মেসির চলে যাওয়া ছাড়াও আমরা গত এক বছরে অনেক গুলো ধাক্কা সামলেছি, প্রতিটিই হজম করা খুবই মুশকিল ছিল। কিন্তু আমাদের তো এগিয়ে যেতে হবে। সব সামলে নিজেদের দায়িত্বটা সামলাতে হবে। মেসিকে ছাড়া ভালো খেলার অভ্যেসটা করতে হবে।
গত বছর বায়ার্নের কাছে বার্সার ৮-২ গোলে হেরে যাওয়াটা দলের সকলের ওপর বাজে প্রভাব তৈরি করেছিল—বলছেন বুসকেতস। ক্লাবটা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গেছে। মেসি দল ছেড়েছেন, আগেই দল ছেড়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। সে সময়ের কোচ সেতিয়েন আর সভাপতি বার্তোমেউয়ের পরিণতি তো আরও বাজে। তবে নতুন কোচ রোনাল্ড কোমানের অধীনে দলটার নতুন যাত্রা ভালোই হচ্ছে বলে মনে করেন বুসকেতস, ‘যা যা ঘটেছে, সবগুলোই মেনে নেওয়া খুব কষ্টদায়ক। কিন্তু এটাই ফুটবল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলেই মনে করি আমি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের সবশেষ মৌসুমেও বার্সেলোনার ফল ছিল খুবই খারাপ। গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ফলই বলা যায় সেটিকে। পিএসজির কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়াটা দলটার ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা আরও সামনে নিয়ে আসে। মেসি চলে যাওয়ার পর এ মৌসুমে কোচ কোমান নাকি চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে কোনো আশাই আর দেখেন না। তবে বুসকেতস ভাবছেন একটু অন্যভাবেই। তাঁর মতে, এ মুহূর্তে বার্সার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াটা ভালোভাবেই এগোচ্ছে, ‘গত মৌসুমে আমরা বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম। দলে অনেক বদল এসেছে। তবে নতুন কোচ কোমানকে আনা হয়েছে, তিনিও নিজের মতো করে সব সাজাচ্ছে। আমি মনে করি এর একটা প্রভাব অবশ্যই থাকবে। ফুটবলে অনেক কিছুই ঘটে। গত মৌসুমে দেখুন কীভাবে চেলসি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে নিল। তাদের শুরুটা কিন্তু মোটেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ছিল না।
খন মেসিবিহীন বার্সায় খেলোয়াড়দের সম্মিলিত প্রয়াসই সাফল্য এনে দিতে পারে বলে মনে করেন বুসকেতস, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা জানি মেসি নেই। আমরা তাঁকে মিস করব, তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স মিস করব। সামনের দিনগুলো কতটা কঠিন, সেটা আমরা জানি। আমরা কিছুটা রোমাঞ্চিতও। তবে আমরা স্বপ্ন দেখি, আমরা জিততে চাই।