২৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে ইউজিসির সতর্কতা - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সন্ধ্যা ৭:৫৬, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

২৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে ইউজিসির সতর্কতা

newsup
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
২৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে ইউজিসির সতর্কতা
নিউজ ডেস্কঃ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইউজিসি এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ইউজিসির ওয়েবসাইটে গণবিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি শুধুমাত্র সরকার এবং ইউজিসির অনুমোদিত ক্যাম্পাস ও প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।

এছাড়া এ সংক্রান্ত বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট দেখে নিতেও বলা হয়েছে।

ইউজিসি অনুনোমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কারও মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। কেউ কেউ আদালতের স্থগিতাদেশে পরিচালিত। কেউ কেউ আবার অনুমোদিত শিক্ষা প্রোগ্রামের বাইরেও কিছু কিছু প্রোগ্রাম চালাচ্ছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ক্যাম্পাস অনুমোদন ছাড়াই আছে।

ইউজিসি জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বর্তমানে সারা দেশে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে নয়টিতে এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ৯৯টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুনোমোদিত ভবন/ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম

দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আউটার ক্যাম্পাস বা অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনা বন্ধ করলেও অমান্য করে বর্তমানে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ভবন/ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সাউদান ইউনিভার্সিটি ও নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এছাড়া সিটি ইউনিভার্সিটি ঢাকার পান্থপথে আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুনোমোদিত প্রোগ্রাম

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রো্গ্রামের অনুমোদন নিয়ে সেই প্রোগ্রামের অন্তরালে আরও ১০টি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ বলে জানিয়েছে ইউজিসি। অননুমোদিত প্রোগ্রামগুলো হলো বিবিএ ইন জেনারেল, বিবিএ ইন ফিন্যান্স, বিবিএ ইন এইচআরএম, বিবিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, বিবিএ ইন মার্কেটিং, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম, বিবিএ ইন অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ ইন ইকোনমিক্স, বিবিএ ইন এন্টারপ্রেনিউরশিপ এবং বিবিএ ইন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট।

গণবিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিতভাবে বিবিএ, পরিবেশ বিজ্ঞান, এমবিবিএস, বিডিএস এবং স্কাইকোথেরাপি প্রোগ্রামগুলো হাইকোর্ট দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়টি এসব প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালাচ্ছে শরীয়তপুরের জেডএইচ সিকদার বিশ্ববিদ্যালয়, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিকানা দ্বন্দ্ব

ব্রিটেনিয়া ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে মালিকানা দ্বন্দ্ব রয়েছে। মালিকানা দ্বন্দ্ব ছাড়াও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই ইবাইসে। ইবাইস ইউনিভার্সিটির দুইজন মালিক একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই।

৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমতি পায়নি

ঠাকুর ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস বিশ্ববিদ্যালয়, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জাহা বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আর টি এম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।