বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। তাই আইন করে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে পারলে সব নির্বাচনব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান হবে। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে বিরাজনীতিকরণ চলছে। এভাবে চলতে থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো হবে নাম ও সাইনবোর্ডসর্বস্ব শক্তি। নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা টিকতে না পারলে রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বশূন্য হয়ে পড়বে।
জিএম কাদের বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের চাপে নির্বাচনে টিকতে না পেরে দলগুলো সমর্থকহীন হয়ে পড়ছে। দেশের মানুষও ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এতে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। বিরাজনীতিকরণ দেশ ও মানুষের জন্য কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের প্যারালালভাবে সরকার ক্ষমতা প্রয়োগ করলে নির্বাচন কমিশন কখনো সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের বিকল্প নেই।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন সৈনিক পার্টির সভাপতি জয়নাল আবেদীন। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন সরকার।