নিউজ ডেস্কঃ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় যুক্ত হতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশের সরকার ও জাতিসংঘ। শনিবার (৯ অক্টোবর) এই চুক্তি সই হয়।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেছেন, শনিবার বেলা ১২টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জাতিসংঘের পক্ষে শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কান্ট্রি ডিরেক্টর চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. জানান, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়াই এখন একমাত্র সমাধান। ডিসেম্বরের মধ্যেই ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হবে।
চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘের সঙ্গে একটি খসড়া চুক্তি করে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ আশা করেছিল, আগস্টের শুরুতে চুক্তি চূড়ান্ত হলে সেপ্টেম্বর থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে জাতিসংঘ। তবে কিছুটা বিলম্ব হলেও অবশেষে ভাসানচরে বৈশ্বিক সংস্থাটি যুক্ত হতে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের আপত্তি ছিল। তবে গত ১৭ মার্চ তিন দিনের সফরে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের দেখতে যান জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ভাসানচর ঘুরে আসা জাতিসংঘের কর্মকর্তারা প্রায় মাসখানেক পর ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ভাসানচরে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আসছিল জাতিসংঘ। এ আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, নির্বাচনের সুযোগসহ বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে ভাসানচরের মতো কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির রাখার অনুরোধ করেছে তারা।
জাতিসংঘ অবশ্য বলেছে, এসব শর্তের মধ্যে কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলো আংশিক মেনেছে বাংলাদেশ। আর কিছু শর্ত রয়েছে, যা কোনোভাবেই মানা হয়নি।