লন্ডন ডেস্কঃ
মজুরি বৃদ্ধি এবং কাজের শর্তাবলিতে পরিবর্তন আনার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন লন্ডনের উবার ড্রাইভারদের একাংশ। তাদের আন্দোলনে নতুন করে যোগ হয়েছে ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার’ চালুর বিষয়টিও। উবার ড্রাইভাররা বলছেন, এই সফটওয়্যারর কারণে তাদের কাজ করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
ক্ষুব্ধ উবার ড্রাইভাররা তাদের গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন। বুধবার তারা সমাবেশ করেন উবার হেডকোয়ার্টারের সামনে। সেখানে তারা উবার কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দেন।
উবার ড্রাইভাররা আরও ভালো রেইট দাবি করছেন। উবারকে তাদের কমিশন কমানোর দাবি জানাচ্ছেন এবং ফিক্সড প্রাইস ট্রিপ বন্ধ করে দিতে বলছেন।
উবার ড্রাইভারদের জন্য চালু করা ফেশিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার এর ব্যবহারকে বর্ণবাদী বলে মনে করেন প্রতিবাদী উবার ড্রাইভাররা। আসল ড্রাইভার উবার চালাচ্ছেন কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য ফেশিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার চালু করেছে উবার। একজনের আইডি ব্যবহার করে অন্যজন উবার চালানোর অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। কিন্তু এই সফটওয়্যার যথেষ্ট কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। অশ্বেতাঙ্গ মানুষের চেহারা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ হচ্ছে এই সফটওয়্যার। ফলে অনেক উবার ড্রাইভার অভিযোগ করেছেন, তাদের চেহারা ভুলভাবে চিহ্নিত হওয়ার কারণে তাদের একাউনট ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবাদে যোগ দেয়া অনেকে বলছেন, উবার তাদেরকে ন্যায্য মজুরি এবং সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবে উবার বলছে, ব্রিটেনের ৭০ হাজার উবার ড্রাইভারের সকলে ন্যাশনাল লিভিং ওয়েজ পাচ্ছে। অবশ্য, সর্বনিম্ন মজুরির চেয়ে বেশী আয়ের সুবিধা রয়েছে উবারে। ফেশিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার সম্পর্কে উবার কর্তৃপক্ষ বলেছে, যারা উবার অ্যাপ ব্যবহার করে, তাদের সকলকে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা দিতে রিয়েল-টাইম-আইডি চেক করার এই নিয়ম চালু করা হয়েছে, যাতে সঠিক ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করা যায়। উবার আরও জানিয়েছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে ড্রাইভারের পরিচয় নিশ্চিত করা হলেও একজন ড্রাইভারকে বাদ দেয়ার আগে উবারের দু’জন কর্মকর্তা বিষয়টি মূল্যায়ন করেন।
ড্রাইভারদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কথা জানিয়ে লেখা চিঠি গ্রহণ করতে উবার হেডকোয়ার্টারের কোনো কর্মকর্তা বেরিয়ে আসেননি। তাই ড্রাইভারদের মধ্যে দেখা যায় হতাশা এবং ক্ষোভ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।