বিনোদন ডেস্কঃ
ভালো নেই বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। বড় ছেলে আরিয়ান খান আটক। মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের জেলে কাটছে তার আপাত জীবন। থাকতে হবে সপ্তাহ কিংবা তারও বেশি সময়। আপাতত ১৪ দিনের জেলবাস। ৩ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে মাদক-পার্টিতে অংশ নেওয়ার কারণে বন্ধুদের সঙ্গে ভারতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এনসিবির হাতে আটক হন আরিয়ান। সেই থেকে মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে সেরা উকিল মানশিন্ডেকে দিয়ে ছেলের জামিনের চেষ্টা করছেন শাহরুখ। কিন্তু সেটা মিলছে না।
ফলে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন বলিউড বাদশাহ। ছেলে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি, বাবার তো বাদশাহি জীবন চলে না। তাই একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে গেছেন তিনি। বাদ দিয়েছেন শুটিং। পণ করেছেন, ছেলেকে মুক্ত না করে শুটিংয়ে ফিরবেন না। তাকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের ‘জিরো’ ছবিতে। তারপর ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ফের ভক্তদের সামনে নতুন চরিত্র নিয়ে আসবেন-এমনই ঘোষণা ছিল। ‘পাঠান’ নামে সেই সিনেমার শুটিং ছিল ছেলে গ্রেফতার হওয়ার তিন দিন পর। স্পেনে সব প্রস্তুত ছিল। কিন্তু সেটাও বাদ দিয়েছেন। দক্ষিণ ভারতীয় নির্মাতা অ্যাটলির পরিচালনায় আরও একটি সিনেমার কাজ করছিলেন। ছেলেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত ছবি দুটির কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন।
এদিকে সিনেমার শুটিং বাদ দিয়েও শান্ত হতে পারেননি শাহরুখ। আরিয়ানের গ্রেফতারে তার ক্যারিয়ারেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের উপদেশমূলক শাহরুখের একটি বিজ্ঞাপন বাইজুস নামে একটি অ্যাপসে প্রচার হতো। নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে সেটাও বাদ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনেকে টিপ্পনী কেটে বলেছেন-যিনি নিজের ছেলেকেই সঠিক শিক্ষা দিতে পারেননি তিনি অন্যকে কী শিক্ষা দেবেন! এর আগে ২০১৭ সালে বাইজুসের সঙ্গে চুক্তি হয় কিং খানের। তারপর থেকেই ওই সংস্থার আয় বেড়ে যায়। শাহরুখ সংস্থাটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও।
শাহরুখ বিপদে, স্বভাবতই সহকর্মীরা পাশে দাঁড়াবেন। দাঁড়িয়েছেনও অনেকে। ঋত্বিক রোশন তো একটি খোলা চিঠি লিখে নেট দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একজন ব্যতিক্রম। তিনি কঙ্গনা রানাউত। এ অভিনেত্রী শাহরুখকে ইঙ্গিত করে কটাক্ষ করে বলেছেন, জ্যাকি চান কিন্তু তার ছেলের অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘সব মাফিয়া পাপ্পুরা আরিয়ানের হয়ে কথা বলছে। আমরা সবাই ভুল করি, কিন্তু সেটা নিয়ে গৌরব করা ঠিক নয়। বরং, এটা ওকে সাহায্য করবে সঠিক চিন্তাভাবনা করতে ও কোন কাজের ফল কী হতে পারে তা শিখতে। আশা করা যায়, এতে (গ্রেফতার) সে (আরিয়ান) বিকশিত হবে, ভবিষ্যতে আরও ভালো এবং বড় মানুষ হবে। কোনো দুর্বলের ব্যাপারে সমালোচনা করা যেমন ঠিক নয়, তেমনই ঠিক না এটা বোঝানো যে, তারা কোনো ভুল করেনি।’
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।