সাহিত্য ডেস্কঃ আজ অগ্রহায়ণের প্রথম প্রহর। তখনো শীতের আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠেনি নগরবাসী। তবে শিল্পকলার উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে শিল্পী গাজী আব্দুল হাকিমের বাঁশি বাদনের মধ্য দিয়ে যেন জেগে উঠল পুরো প্রাঙ্গন। এর মধ্য দিয়ে নবান্ন উৎসব ১৪২৮ এর শুভ সূচনা হলো। সেই সঙ্গে পিঠা পুলির মৌ মৌ সুগন্ধে গ্রামীণ সুখানুভুতি অনুভব করল উপস্থিত দর্শকরা।
মঙ্গলালোকে যেন মঙ্গলবারের সকালটি গান, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় সঙ্গীত, নৃত্যের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠল পুরো চত্বর।
জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে নবান্ন কথন পর্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান সুজা। সভাপতিত্ব করেন নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম।
এ উৎসবে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্ট (বাফা) উদীচী, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, স্বভূমি লেখক গোষ্ঠী, সমস্বর, উজান, পঞ্চায়েত, উত্তরা কালচারাল সোসাইটি।
দলীয় নৃত্যে অংশ গ্রহণ করে নৃত্যজন, জি এ মান্নান দিব্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, নৃত্যম নৃত্যশীলন কেন্দ্র, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, স্পন্দন, বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস, পুষ্পাঞ্জলী, নান্দনিক নৃত্য সংগঠন, নূপুরের ছন্দ এবং বাংলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস।
শিশুদলের মধ্যে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তিতে অংশ নেয় স্বরবৃত্ত, মন্দিরা শিশু পাঠশালা, স্বপ্নবীনা শিল্পকলা বিদ্যালয়, মৈত্রী শিশুদল, রঙ্গপীঠ শিশুদল, নৃত্যমঞ্চ।
এ ছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন বরেন্যে শিল্পী ফাতেমাতুজ জোহরা, শাহীন সামান, আবুবকর সিদ্দীকী, বুলবুল মহলানবীশ, মহাদেব ঘোষ, মহিউদ্দিন ময়না, অনীমা রায়, সঞ্জয় কবিরাজ, আরিফ রহমান, নবনীতা যায়ীদ চৌধুরী, শ্রাবণী গুহ, ডা. মাহজবীন শাওলী, সুরাইয়া পারভীন, মারুফ হোসেন, দেবপ্রসাদ দা, অনিমেষ বাউলসহ অনেকে।
একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আহকাম উল্লাহ, রূপা চক্রবর্তী, রেজিনাওয়ালী লিনা, শাহাদাত হোসেন নিপু, মাসকুরে সাত্তার কল্লোল, বেলায়েত হোসেন, ফয়জুল আলম পাপ্পু, নায়লা তারান্নুম কাকলি, আহসান তমাল, আজিজুল বাসার মাসুম, রূপশ্রী চক্রবর্তী।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি সঙ্গীতা ইমাম।