‘বিদেশিদের নিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে সরকারকে দুই লাখ টাকা করে দিতে হবে’ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৪:২৯, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

‘বিদেশিদের নিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে সরকারকে দুই লাখ টাকা করে দিতে হবে’

newsup
প্রকাশিত নভেম্বর ২১, ২০২১
‘বিদেশিদের নিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে সরকারকে দুই লাখ টাকা করে দিতে হবে’

নিউজ ডেস্কঃ 

বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পীপ্রতি দুই লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ড. হাছানের মতে, মানুষকে ভাবায়, কাঁদায় এমন অনেক দেশি বিজ্ঞাপন আছে। বিদেশি বিজ্ঞাপনকে ডাবিং করে এখানে প্রচার বন্ধ করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ক্লিনফিড হওয়ার কারণে দেশের টেলিভিশন শিল্প যে পাঁচশ’ বা সাতশ’ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন হারাতো সেগুলো এখন দেশের টিভিগুলো পাওয়া শুরু করেছে।

রবিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর বনানীতে একটি অভিজাত হোটেলে এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেলিভিশন চ্যানেলের বিকাশ’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

‘টেলিভিশন শুধু বিনোদন বা সংবাদের জন্যই নয়, টেলিভিশন জীবন, সমাজ ও দেশ গঠনে কাজ করবে, সেটিই হোক বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে আমাদের লক্ষ্য’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আগে একটি টেলিভিশন ছিলো, আজকে একে একে ৩৪টি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, আরও কয়েকটি প্রস্তুতি নিচ্ছে, ৪৫টির লাইসেন্স দেওয়া আছে। সাংবাদিক, কলাকুশলী ছাড়াও টেলিভিশন শিল্পে সবমিলিয়ে প্রায় লাখ খানেক মানুষ যুক্ত। আরও অনেকেই কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন বানায় ও বিক্রি করে। প্রায় পাঁচ কোটি বাড়িতে টেলিভিশন আছে।

টেলিভিশনকে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ‘অনেকের ঘরে টেলিভিশন না থাকলেও দেখা যায় চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশনে নাটক, সিনেমা দেখছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মানুষের জীবনের ওপর টেলিভিশনের একটা প্রভাব আছে। পুরো টেলিভিশন শিল্পটা জীবন গঠনে ভূমিকা রাখবে। টেলিভিশন জীবন, সমাজ, দেশ গঠনে এবং রাষ্ট্রকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য টেলিভিশন কাজ করবে, এটিই বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে আমার প্রত্যাশা।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যাদেরকে উপযুক্ত মনে করেছেন তাদেরকে দিয়েছেন, যাতে দেশ, সমাজ, সাংবাদিকরা উপকৃত হবে এবং একইসঙ্গে দেশ ও সমাজ গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তাই এ দিবসে আমার বিনীত অনুরোধ, আমরা যেন দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ, মূল্যবোধ এবং মেধায় সমৃদ্ধ একটি নতুন প্রজন্ম গঠনে এই টেলিভিশন শিল্পকে কাজে লাগাতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করবো।’

টেলিভিশন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপগুলো নিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রচারের জন্য বিদেশি চ্যানেলকে আইন অনুযায়ী ক্লিনফিড পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের কেউ কেউ বিদেশি চ্যানেলগুলোর ফিড ক্লিন করার দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করছে। এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ, আইন অনুযায়ী ক্লিনফিড পাঠানো বিদেশি চ্যানেলগুলোরই দায়িত্ব। তারা নেপাল, শ্রীলংকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠায়, সেখানে বাজার অনেক ছোট। আর আমাদের দেশে পাঠাবে না, আমরা দায়িত্ব নিয়ে ক্লিনফিড করবো, তার প্রয়োজন নেই।’

দেশে টেলিভিশনগুলোর রেটিং বা টিআরপি একটা সংস্থা করতো, অন্যান্য দেশে কিভাবে করা হয়, বিশেষ করে ভারতে কিভাবে করা হয় অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা একটা সিদ্ধান্ত এসেছি এবং খুব সহসা আমরা এতে শৃঙ্খলা আনবো, বলেও জানান তিনি।

ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সেটি একদিনেই চট করে হয়ে যাবে না, সেটিকে আমরা ভাগ করে দিয়েছি। ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রথম, পরে মেট্রোপলিটন শহর, পুরনো জেলা শহর, তারপর অন্যান্য জেলা শহরগুলোতে করবো।  এজন্য সবার সহযোগিতা ও প্রচার প্রয়োজন, কারণ মানুষকে সেট টপ বক্স নিতে হবে। এতে সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট। জনগণের ওপর যাতে অযাচিতভাবে বেশি টাকায় সেট টপ বক্স বিক্রি করা না হয় সেটা আমরা মনিটর করবো।

হাছান মাহমুদ জানান, গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। খুব সহসা এটি জাতীয় সংসদে পৌঁছাতে পারবো আশা করি। এটি পাশ হলে সম্প্রচার গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্টদের আইনী সুরক্ষা প্রতিষ্ঠা সম্ভবপর হবে। সম্প্রচার আইনও আইন মন্ত্রণালয়ে আছে, তারা কাজ সমাধা করলেই সেটি আমাদের মন্ত্রণালয় হয়ে জাতীয় সংসদে যাবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।