আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে আফগান দুই কন্যার বিয়ে দিলেন বাবা

Daily Ajker Sylhet

newsup

২৩ নভে ২০২১, ০৭:৪২ অপরাহ্ণ


আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে আফগান দুই কন্যার বিয়ে দিলেন বাবা

নিউজ ডেস্কঃ

আফগানিস্তানের ইট ভাটা শ্রমিক ফজল তার ১৩ ও ১৫ বছর বয়সী কন্যাকে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে দুই পুরুষের হাতে তুলে দিয়েছেন। যাদের হাতে কন্যাদের তুলে দেওয়া হয়েছে, তাদের বয়স কন্যাদের বয়সের প্রায় দ্বিগুণ।

রয়টার্সের খবরে খবরে বলা হয়েছে, আফগান ইটভাটাশ্রমিক ফজলের এটা করা ছাড়া উপায় ছিল না। কারণ মোহরানার বিনিময়ে দুই নাবালিকা কন্যার বিয়ে না দিলে ফজলের পরিবারের সদস্যদের অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। মোহরানার এই অর্থ পাওয়ার পরও তাদের অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে যাবে। তখন হয়তো তার সাত বয়সী তৃতীয় কন্যাকেও এইভাবে বিয়ে দিতে হবে।

আফগানিস্তানের এই দরিদ্র বাবা রয়টার্সকে বলেন, পরিবারকে খাওয়ানো ও ঋণ পরিশোধের জন্য এটা করা ছাড়া আমার উপায় ছিল না। তবে তৃতীয় কন্যাকে এভাবে বিয়ে দিতে হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আফগান নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সংস্থাগুলো দেশটিতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। ফলস্বরূপ আফগানিস্তানের অর্থনীতির ভঙুরদশা।

নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, যৌতুক পাওয়ার বিনিময়ে দরিদ্র পিতারা তাদের কন্যা শিশুদের ভবিষ্যতে বিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করছেন। অধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, আসন্ন মাসগুলোতে আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহ দ্বিগুণ হবে।

আফগানিস্তানের প্রসিদ্ধ নারী অধিকার কর্মী ওয়াজমা ফ্রগ বলেন, এই গল্প শুনে আমার হৃদয় অবশ হয়ে গেছে। এটা বিবাহ নয়, এটা শিশু ধর্ষণ। এই ধরনের ঘটনা তিনি প্রায় প্রতিদিন শুনছেন বলেও জানান।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, আফগানিস্তানের পরিবারগুলো মোহরানা পাওয়ার বিনিময়ে তাদের ২০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিবাহ দিয়ে দিচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।