নিউজ ডেস্কঃ কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মেম্বার প্রার্থীর কাছ থেকে কয়েক দফায় ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম নামের এই নেতা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। জয়ী না হওয়ায় ইউসুফ আলীর কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন ওই প্রার্থী। এদিকে এই ঘুস দেওয়া-নেওয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে অডিওটি এডিট করা বলে দাবি করেছেন ইউসুফ আলী।
শাক্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মো. হারুন বলেন, পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউসুফ আলী চৌধুরী আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ২০ লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন। কিন্তু অন্য প্রার্থীর কাছে আরও বেশি টাকা পেয়ে আমার পক্ষে কাজ করেননি।
ভাইরাস হওয়া অডিওতে শোনা যায় হারুন বলছেন, চাঁন রাইতের দিন (নির্বাচনের আগের দিন) ১২ লাখ টাকা নিলেন। কিন্তু আমার জন্য কি করলেন? জবাবে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘প্রশাসন কারচুপি করতে দেয় নাই।’ এ সময় হারুন বলেন- ভাই যা হওয়ার হইছে, আপনি আমার টাকাগুলো ফেরত দেন। তখন ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন, রাজনৈতিক সংগঠনে মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে মেম্বার চেয়ারম্যান নির্বাচন করে। রাজনীতি করতে গেলে টাকা লাগে। টাকা দিছস। আগামীতেও দিবি। এ সময় উত্তেজিত কণ্ঠে হারুন বলেন, আপনি আমার কাছ থেকে টাকা নিছেন, আবার আমার প্রতিপক্ষের কাছ থেকেও ২ কোটি টাকা নিছেন। লোকজন বাজারে তাই বলাবলি করছে। ভাই আমি অতো কিছু বুঝি না। আমার টাকা ফেরত দেন।
অপর একটি অডিওতে শোনা যায়, হারুন বলছেন- আপনারে যে ১২টা দিমু (১২ লাখ) এইডা লইয়া টেনশনে আছি। জবাবে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন, তোর কোনো টেনশন নাই, তুই ঘুমা। কালকে তুই আমারে ১২টা (১২ লাখ) দিয়া ঘুমা। ২৯ তারিখ সকালে উঠিস (নির্বাচনের পরের দিন)। ওইদিন তুই পারলে আমার কাছ থেকে ফুলের মালা লইয়া যাইস।
মেম্বার প্রার্থীকে পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুস নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন, এগুলো এডিট করা। সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। আমাদের শক্রপক্ষ ওকে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে এটা করেছে। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। আমার ঢাকা শহরে কোনো বাড়ি নেই, ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। ব্যাংক ব্যালেন্সও নেই। বড় বড় মানুষের সঙ্গে উঠা বসা করেছি, ওইরকম স্বভাবের হলে অনেক টাকাই কামাতে পারতাম।