সেই গ্যাবাতেই আবারও দুর্গ গড়ে তোলার মিশনটা তাদের শুরু হচ্ছে মর্যাদার লড়াই অ্যাশেজ দিয়ে। ভারত সিরিজের পর ১১ মাস পর আবারও টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে টি-২০র নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগামীকাল ভোর ৬টায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে প্যাট কামিন্সের দল।
প্রতিবারই অ্যাশেজ নিয়ে উত্তেজনা থাকে তুঙ্গে। এবারও ব্যতিক্রম ছিল না। ঐতিহাসিক এই লড়াইয়ের আগেই বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ‘যৌন কেলেঙ্কারি’ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন টিম পেইন, সরে দাঁড়ান দল থেকেও। যার ফলে ৬৫ বছর পর কোনো পেসারের নেতৃত্বে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
নতুন অধিনায়ক কামিন্সের কাছে ছাইদানিটা ধরে রাখাটাই প্রধান লক্ষ্য। ২০১৭-১৮ সালে ঘরের মাঠে জেতার পর ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে সিরিজ ড্র করে ছাইদানি নিজেদের কাছেই রেখেছে অজিরা। সেটা ছিনিয়ে নিতেই এবার জো রুটের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে চলতি বছরটা দুর্দান্ত কাটাচ্ছেন রুট।
১২ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ১ হাজার ৪৫৫ রান করেছেন তিন। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৮৮ রান করা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফকে ছাড়িয়ে যেতে এই বছরে তিন টেস্ট হাতে পাচ্ছেন রুট। তাতে ৩৩৩ রান করে ফেললে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
তবে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অধিনায়কত্বের দিকে সমান জোর দিতে হবে রুটকে। ২০১১ সালে সবশেষ অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জেতার পর সেখানে ১০ ম্যাচের ৯ টিতেই হেরেছে ইংলিশরা। গতবার রুটের অধীনেই হেরেছে ৪-০ ব্যবধানে। চলতি বছর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দারুণভাবে শুরু করলেও ভারত সফরে হারের পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে নাজুক ফল অ্যাশেজের আগেই অনেকটা পিছিয়ে দেয় তাদের।
তবে বিরতি কাটিয়ে দলের প্রাণভোমরা বেন স্টোকস ফেরায় কিছুটা হলেও আশার কারণ খুঁজে পেয়েছে তারা। এদিকে অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টটি পার্থে হওয়ার কথা থাকলেও কোয়ারেন্টাইন জটিলতার কারণে ভেন্যু বদলাতে বাধ্য হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। নতুন ভেন্যু পরে জানিয়ে দিবে তারা।