নিউজ ডেস্কঃ
কানাডার টরন্টোয় শহীদ মিনারের নাম ফলকে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম রূপকার, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের নামের বানান ‘রাগিবুল ইসলাম’ লেখা হয়েছে। এই অমার্জনীয় ত্রুটির ঘটনা নিয়ে কমিউনিটির মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নাট্যকর্মী আহমদ হোসেন।
শুধু রফিকুল ইসলামের নামের বানান ভুল নয়, এই ফলকের তথ্যে ভুল আছে এবং ফলকের ভাষাও দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন ১৯৭১ সালে কানাডায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রবিউল আলম।
তিনি ভ্যাংকুভার থেকে এই প্রতিবেদককে জানান, এক দিকে কানাডায় শহীদ মিনার স্থাপনের আনন্দ, অন্য দিকে দুঃখজনকভাবে রফিকুল ইসলামের নামের বানান ভুল পীড়াদায়ক। তিনি অনতিবিলম্বে তা সংশোধনের আহ্বান জানান।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক সাংবাদিক বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল নকশার অনুকরণে বলা হলেও টরন্টোস্থ শহীদ মিনারের বেদির সঙ্গে তা মিল নেই।
দ্য অর্গানাইজেশন ফর টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ ডে মনুমেন্ট ইনকর্পোরেশন এর অন্যতম পরিচালক মনিরুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান, আমাদের মূল কপিতে নামের বানান ঠিক আছে। প্রকাশিত স্মরণিকার ৩১ পৃষ্ঠায় ফলকে খুদিত লেখায় তা-ই প্রমাণ। বানানের ভুলটা করেছে, যারা ফলকটি তৈরি করেছেন। তবে এ ব্যাপারে আমরা শিগগিরই পদক্ষেপ নেবো।
এখানে আরও উল্লেখ্য, টরন্টোস্থ উপ-দূতাবাসের বিদায়ী কনস্যুলার জেনারেল শহীদ মিনারের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুদান কুড়ি হাজার ডলার দিলেও তা সংস্থা গ্রহণ করেনি।
সেই অনুদানের অর্থ ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, এখানে উক্ত কনস্যুলার জেনারেল আমাদের দীর্ঘ কয়েক বছর আশা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। এর পেছনে আরও অনেক কাহিনী আছে। পরে যখন আমাদের শহীদ মিনার নির্মাণ শেষ হলো, মাথা উঁচু করে মিনার দাঁড়িয়ে গেলো, তখন তিনি অতি আগ্রহী হয়ে উঠলেন। সেই সময় আমাদের আর অর্থের প্রয়োজন ছিলো না। কারণ, সেই বাড়তি টাকা আমরা কি করবো?
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।