ভারতীয় উপমহাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসবের জুড়ি নেই। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামসহ প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বাঙালিরা এ শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠেন।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর সাড়ম্বরে পালিত হয় এ উৎসব। সর্বজনীন এ উৎসবের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য এ বছর ইউনেসকোর কাছে আবেদন জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই আবেদন যাচাই–বাছাইয়ের পরে ১৩–১৮ ডিসেম্বর ইউনেসকোর ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন শেষে বুধবার স্বীকৃতির এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
বেশ কয়েক বছর ধরে দশমী পূজায় কলকাতার রেড রোডে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয় কলকাতা ও আশপাশের শতাধিক পূজা কমিটি। প্রতিমা নিয়ে কলকাতাবাসী রেড রোডে আনন্দ–উৎসবে মেতে ওঠেন। কার্নিভালে যোগ দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ নামীদামি সব তারকা। এতে যোগ দেয় কলকাতার বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনও।
উৎসবকে আন্তর্জাতিক তকমা দিতে এ বছরের আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইউনেসকো অবশেষে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের তালিকায় স্থান দেয় দুর্গোৎসবকে।
স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্তোষ প্রকাশ করে টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ স্বীকৃতি প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য গর্বের ও আনন্দের। দুর্গাপূজা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সেরা দিকগুলো আলোকিত করে। সবার উচিত দুর্গাপূজা দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করা।’
২০১৩ সালে ভারতের মণিপুর রাজ্যের কীর্তন গানকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো। এরপর ২০১৭ সালে ভারতের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কুম্ভ মেলাকেও এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।