মোঃরিমন খান সরাইল প্রতিনিধি।
ঢাকা সিলেট মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার আটকের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায় হাইওয়ে পুলিশকে। জানা যায় ওই অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে আশুগঞ্জ, বিজয়নগর সাতবর্গ পর্যন্ত মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আটক অভিযান চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী কালামোড়া সেতু পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার এলাকা খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অধীনে।
এর মধ্যে সরাইল নাসিরনগর উপজেলার যাত্রীদের সুবিধার্থে মহাসড়কের সরাইল কুট্টাপাড়া মোড় থেকে খাঁটিহাতা মোড় পর্যন্ত থ্রি-হুইলার চলার জন্য বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো.শাহজালাল আলম নেতৃত্বে হাইওয়ে থানা পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়ানো থ্রি হুইলার অটোরিকশা, ইজিবাইক ও ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান মহাসড়কে উঠলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটক করে। পরে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুসারে দুই হাজার পাঁচশত টাকা প্রতি গাড়িকে জরিমানা করে মামলা দেওয়া হয়।
এ দিকে আমেনা বেগম নামে এক রিকশা চালকের মা বলেন, আমার বাড়ি ইসলামআবাদ মহাসড়কের পাশে , বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মহাসড়কে চলতে হয়।আমি হতদরিদ্র মানুষ দুই দিন আগে আমার ছেলের রিকশাটি ধরে মামলা দেয়। কোনো রকম ভাবে টাকা জোগাড় করে মামলা ভাঙ্গিয়ে আনি,আজ আবার ধরা পড়ে, ওসি স্যারকে বললাম স্যার আমি গরিব মানুষ আমার গাড়ি টা দিয়ে দেন,আমি আর আসব না। তারপরও মহাসড়ক উঠার কারণে মামলা দেওয়া হয়েছে।
সিএনজি চালক রুবেল বলেন, পেটের দায়ের সিএনজি নিয়ে মহাসড়কে দিয়ে গ্যাস নিতে যায়, তারপর আবার খেতে হয় মামলা।
বিভিন্ন কোম্পানি ভ্যান চালক বলেন, কোম্পানি চিপস, বিস্কুট,ভ্যান গাড়ি চারা অন্য কোনো গাড়ি দিয়ে নেওয়া যাইনা,কোম্পানির মাল বিভিন্ন জায়গায় দোকানে দোকানে ডেলিভারি করতে হয়। তাই বাদ্য হয়ে ভ্যান গাড়ি দিয়ে মহাসড়কে দিয়ে যেতে হয়।
তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া শিবানী বলেন,আমরা হিজড়াদের গাড়ি কোনো পুলিশ ধরে না,অথচ ওই বেটা পুলিশ মহাসড়কে উঠার কারণে মামলা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ শাহজালাল আলম বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমরা মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন আটকের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আজ মঙ্গলবার মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইজিবাইক, নসিমন, ভটভটি, সিএনজি আটক করা হয়। আটককৃত এসব থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে ডাম্পিং ও প্রসিকিউশন দাখিল করে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়কে সিএনজি, ইজিবাইক, নসিমন, ভটভটিসহ আমরা কোনো থ্রি-হুইলার চলাচল করতে দেব না। তারপরও মহাসড়কের পাশের কিছু কিছু শাখা রোড দিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব যানবাহন মহাসড়কে উঠে যাচ্ছে।
আমরা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে আইন আমান্যকারী যানবাহন গুলোকে আটক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন ওসি মোঃশাহজালাল আলম।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।