ডেস্ক রিপোর্ট : সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনসহ হাজারও মানুষ ভরা জোয়ারে বাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছেন। যেকোন সময় পানির তোরে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ হাওর প্লাবিত হতে পারে। ভেসে যেতে পারে হাজার হাজার একর ফসলী জমি। উপজেলায় সবেমাত্র ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ ভারতের চেরাপঞ্জির অত্যধিক বৃষ্টিতে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালগঞ্জের সুরমা, বৌলাই, জাদুকাটা, রক্তি নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে হাওর রক্ষা বাঁধগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে জামালগঞ্জের হালি, মহালিয়া ও শনি হাওরের বৌলাই নদীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিপদ সামলাতে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানসহ শত শত কৃষক বিভিন্ন ফাটল ও বুরুঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোতে রাতবর বাঁশ ও মাটির বস্তা দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বাঁধ পরিদর্শনে এসে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পাশে থেকে সারা রাত কাজ করা কৃষকদের অভিনন্দন জানান। সরকার যেকোন দুর্যোগে আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত কর্মকর্তা মাঠে নজরদারিতে থাকবেন। যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সকলে একযোগে কাজ করে সমাধান করতে হবে। দুর্যোগ প্রতিনিয়তই আমাদের সামনে আসবে। এগুলো মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এরশাদ হোসেন, বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার, জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রজব আলীসহ এলাকার কৃষকগণ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে রাত জেগে হালি হাওরের সুইচ্চার কাড়া, ঘনিয়ার কাড়া, কসমার কাড়াসহ বিভিন্ন বাঁধে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, গত দুইদিন যাবত অবিরামভাবে বেহেলী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাঁধের বুরুঙ্গা দিয়ে পানি লিকেজ করছে। এলাকার কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে সেগুলো বদ্ধকরণের কাজ চালানো হচ্ছে। আশা করি আর পানি বৃদ্ধি না হলে কৃষকের ফসল সুন্দরভাবে ঘরে উঠবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।