‘ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই স্বপ্ন দেখছিলাম’ বললেন মেডিকেলে দেশসেরা মীম - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:৪৮, ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

‘ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই স্বপ্ন দেখছিলাম’ বললেন মেডিকেলে দেশসেরা মীম

banglanewsus.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৫, ২০২২
‘ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই স্বপ্ন দেখছিলাম’ বললেন মেডিকেলে দেশসেরা মীম

ডেস্ক রিপোর্ট : ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হয়েছেন খুলনার মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মীম। একশ নম্বরের মধ্যে ৯২.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি
মীম খুলনা সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। মীমের গ্রামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। মীমের বাবা মোসলেম উদ্দিন সরদার একজন সহকারী অধ্যাপক। আর তার মা খাদিজা খাতুন একজন সরকারী চাকরিজীবী।

যদিও ছোটবেলা থেকে চিকিৎসক হওয়া স্বপ্ন ছিল না মীমের। প্রকৌশল বিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। তবে মীমের বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল সন্তান চিকিৎসাসেবা দিবে সাধারণ মানুষের। বাবা মায়ের সেই স্বপ্নপূরণ করতেই চিকিৎসক হওয়ার অদম্য ইচ্ছা জাগে তার।

মীম সময় নিউজকে জানায়, ‘মূলত আমি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই স্বপ্ন দেখছিলাম এইচএসসি পর্যন্ত। তবে আমার বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল আমাকে চিকিৎসক বানানোর। আমি যেহেতু আমার বাবা-মায়ের জন্যই। তাই আমি আমার বাবা মায়ের স্বপ্নপূরণ করতেই মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় পড়াশুনা করি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি ভালো ফলাফল করতে পেরেছি।’

নিজেকে ভবিষ্যতে একজন সৎ মানুষ আর সৎ চিকিৎসক হিসেবে দেখতে চান মীম। এমন সাফল্যে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি কৃতিত্ব দিলেন তার মাকে।

তিনি আরও জানান, ‘আমার মা-ই আমাকে সব থেকে বেশি অনুপ্রাণিত করেছেন। এখন আমার ইচ্ছা ভালোভাবে চিকিৎসাবিদ্যা শেষ করে গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’

মীম বলেন, ডিএমসি স্কলার্স এর শিক্ষক ডা. সিয়াম ভাইয়া আমাকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন। আমার থেকেও তিনি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আমার এই সাফল্যে আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।

এদিকে মেয়েকে নিয়ে স্বপ্নটা এখন আরও বড় বাবা-মায়ের। চিকিৎসক হয়ে দেশের গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা তার মা-বাবার।

মীমের মা খাদিজা খাতুন বলেন, আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই খুবই মেধাবী। আমার বড় মেয়েকেও চিকিৎসক বানাতে চেয়েছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে হয়নি। এখন আমার ছোট মেয়ে আমাদের সেই স্বপ্নপূরণ করবে।

আর মীমের বাবা মোসলেম উদ্দিন সরদার বলেন, আমি খুবই খুশি। সে তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার প্রথম ধাপ পার করেছে। গরীব অসহায় মানুষের সে যেন দাঁড়াতে পারে, এ জন্য সকলের প্রতি দোয়াও চান তিনি।

২০১৯ সালে যশোর বোর্ডের ডুমুরিয়া গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন মীম। ২০২১ সালে সরকারি এম এম সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দুই পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। খুলনার মৌলভীপাড়ায় ১৪ টিবি বাউন্ডারি রোড এলাকায় তার পরিবারের বসবাস।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।