বিশেষ লেখা: বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত ‘ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধান’ শীর্ষক একটি গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছেন। এ গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনাভাইরাসের আঘাতে দেশের ৩ কোটি ৫৯ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ফলে পরিস্থিতি সামান্য বদলেছে। কর্মহীন মানুষের হার লকডাউনের সময়ের তুলনায় কমেছে। কিন্তু দুঃসংবাদ হলো, কাজের বাজারে পা রাখার যোগ্য প্রায় দেড় কোটি মানুষ আগের পেশায় ফিরতে পারেননি। তারা করোনার আগে কৃষি, শিল্প, সেবা, নির্মাণ, পরিবহণ, পাইকারি ও খুচরা বাজার প্রভৃতি খাতে কর্মে নিয়োজিত ছিলেন।
গবেষণাপত্রে আরও উঠে এসেছে, কর্মহীন হওয়া মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ তাদের আগের পেশায় ফিরতে পারবেন না, কারণ শ্রমবাজারের ধরনটাই পালটে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতার গুরুত্ব ও উপযোগিতা বেড়েছে। সন্দেহ নেই, আবুল বারকাতের গবেষণাপত্রের তথ্যগুলো আমাদের মন খারাপ করে দেয়। এই মন খারাপ হওয়াটা আরও তীব্র হয়, যখন আমরা মূল্যস্ফীতি দেখতে পাই। এই যে বেকার হয়ে যাওয়া কিংবা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া-এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারকে এখন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আকার বাড়াতে হবে এবং এই কর্মসূচির অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করতে হবে।
আর সাবেক সিনিয়র অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ পরামর্শ দিয়েছেন, কর্মহীন মানুষের পুনর্বাসনের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে সরকারকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তিনি বলেছেন, গ্রামে যেসব ক্ষুদ্র প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করা যাবে না। এসব ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।