এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া :: সিলেটে আলোচিত রায়হান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বন্দর পুলিশ ফাড়ির সাবেক টুআইসি হাসান উদ্দিনের জামিন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট ।
রোববার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন প্রদান করেন।
আদালতে টুআইসি হাসানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আব্দুল আলিম ভুঁইয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
জানা যায় ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর সকালে লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী মামলা করেন। এরপর পুলিশের তদন্ত কমিটি ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়।
পরে ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবর পালিয়ে গেলেও সিলেট জেলার পুলিশ সুপার সদ্য এডিশনাল ডিআইজি পদেন্নতী প্রাপ্ত ফরিদ উদ্দিন এর কৌশলী অভিযানে ভারতে পালিয়ে গিয়েও রেহাই পায়নি সে অবশেষে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তৎকালীন কানাইঘাটথানার ওসি শামছৃদ্দুহা পিপিএম তাকে গ্রেপ্তার করেন।
গত বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে ঘটনার সময় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- এএসআই আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির টুআইসি পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ আল নোমান (৩২)। অভিযোগপত্রভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাবন্দি। অন্যদিকে আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমান এখনো পলাতক।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।