মাহফুজ আদনান :: হেডফোন । বর্তমান সময়ে যে কারো কানে দেখা যায় । মোবাইলে কথা বলতে বা গান শুনতে প্রায় সকলেই এটি ব্যবহার করে থাকেন । এটি বর্তমান সময়ের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে । কথা বলুন আর নাই বলুন অনেকেই কানে হেডফোন লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ান । কাজ করেন । আপনজনদের সাথে কথা বলেন । অফিসের প্রয়োজনে কথা বলেন ।
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনধারাও। যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন উপকরণ। হাতে হাতে মোবাইল ফোনের সঙ্গে একটি হেডফোনও থাকা চাই যে ! চলতি পথে একঘেয়েমি কাটাতে হেডফোনে গান শোনেন অনেকে। কিন্তু উপকারি এই হেডফোনই হতে পারে আপনার ক্ষতির কারণ। হেডফোনে একনাগারে গান শুনলে শোনার ক্ষমতা ৪০-৫০ ডেসিবেল কমে যায়। কানের পর্দা কাঁপে। দূরের আওয়াজ শুনতে অসুবিধা হয়। অনেকেই হেডফোনে গান শোনা কিংবা কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পার হন। আর একারণে এক মুহূর্তেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কানে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। কানে ব্যাথা, মাথা ধরার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ ভুগছে এই সমস্যায়। হেডফোন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে কাজ করতে হয়, তা হলে সেক্ষেত্রে ৫ মিনিট করে ব্রেক নেওয়া দরকার। হেডফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর কোয়ালিটির দিকে নজর রাখুন। ইয়ারবাড ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। পরিবর্তে ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। কারণ ইয়ারফোন কানের বাইরে লাগাতে হয়। কিন্তু ইয়ারবাড কানের ফুটোতে ঢুকিয়ে গান শোনার ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন অনেক বেশি হয় যা পর্দার ব্যাপক ক্ষতি করে।
হেডফোনে ফুল ভলিউমে গান চালিয়ে না শোনাই ভালো। এতে মানসিক সমস্যার পাশাপাশি হার্টের রোগ এবং ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানের নানা রকম জটিল সমস্যাও দেখা দেয়। তাই স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে হেডফোনের ব্যবহার কমিয়ে প্রয়োজনের সময় কানে দেয়াটাই বেশি ভালো ।
লেখক : মাহফুজ আদনান, প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী, বাংলানিউজইউএসডটকম ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।