সম্পাদকীয়: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বিমানবন্দরসংলগ্ন কয়েকটি স্থাপনা।এসব স্থাপনা থেকে বিমানবন্দরের প্রতিটি স্পর্শকাতর স্থান দেখা যায়। ফলে বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি ভিআইপিদের চলাচলে মারাত্মক হুমকি হতে পারে এই স্থাপনাগুলো। এসব স্থাপনার ছাদ ব্যবহার করে নাশকতার আশঙ্কাও রয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) স্পর্শকাতর এ এলাকায় এসব স্থাপনা তৈরির অনুমতি কীভাবে দিল, সেটা একটা প্রশ্ন বটে।
এসব স্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম শুরু হলে তা এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। এমন স্পর্শকাতর এলাকায় স্থাপনা তৈরির অনুমোদন দিয়ে বেবিচক চরম অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। এ অবস্থায় কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) কর্তৃপক্ষ, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), এনএসআই ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর ছাড়পত্র ছাড়া বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের একটি ১২ তলা ৫ তারকা হোটেল, একটি ১৩ তলা ৩ তারকা হোটেল, একটি ৬ তলা শপিং কমপ্লেক্স, একটি ১২ তলা কার পার্কিং ও অফিস কমপ্লেক্স এবং একটি ৩ তলা ব্যাংকুয়েট হল যাতে চালু করা না হয়, সেজন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় বেবিচক দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি শাহজালালের সীমানা প্রাচীর থেকে নির্মিত ভবনগুলোর দূরত্ব নির্ধারণপূর্বক প্রতিবেদন তৈরি করে বেবিচক ও কেপিআইডিসির কাছে পাঠাবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।