শামছুল হক মিনটু :: আজ আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু মাওলানা খলিলুর রহমান স্যারকে হারিয়ে হৃদয়ে খুব ব্যাথা অনুভব করছি। স্কুলজীবনের শিক্ষকগণ শুধুমাত্র শিক্ষক নন, তারা পিতা-মাতার মত আগলে রাখেন শিক্ষার্থীদের। তেমনি স্যার আমাদের দুরন্ত শৈশবে নানা ত্রুটি বিচ্যুতিকে ক্ষমা করে স্নেহ, ভালবাসা ও মমতায় সিক্ত করেছেন সবসময়। প্রিয় স্যারকে রাগান্বিত হতে দেখিনি কখনও, সবসময় মুখে যেন মায়াবি হাসিটা লেগেই থাকত।
তিনি ক্লাসে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ব্যাক্তি জীবনের সততা, নৈতিকতা, আদর্শ ও মানবতার শিক্ষা দিতেন। অসীম ধর্মীয় জ্ঞান থাকায় পাঠ্যবইয়ের বাহিরে শ্রেষ্ঠ মানুষদের জীবনার্দশের গল্প শোনাতেন। শেষ বিকেলের ক্লান্ত শিক্ষার্থী স্যারের ক্লাসে ঠিকই কানায় কানায় পূর্ণ থাকত। স্যারের সীমাহীন মধুর কন্ঠের ওয়াজের কথাগুলো আজও কানে বাজে। স্যারের দেয়া শিক্ষার সবটুকু আমরা অনেকেই হয়ত তা ধারন করতে পারিনি।
শিক্ষা জীবন থেকে এইতো সেদিন পর্যন্ত হাজরো স্মৃতি আজ মনে পড়ছে। ইদানিং দেখা হলে কর্ম জীবন, সংসার জীবন নিয়ে একটু ফ্রি কথা বলার চেষ্টা করতেন কিন্তু চোখের দিকে তাকালে মনে পড়ে যেত সেই ৭ম/৮ম শ্রেণীর ধর্ম শিক্ষা ক্লাসের কথা। আমাদের বয়স যতই পঞ্চাশ ছুই ছুই হউক না কেন, পিতা মাতা ও শিক্ষকের কাছে তো আমরা আজীন শিশু।
শিক্ষকতার পাশাপাশি শমশেরনগরের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শুধু আমাদের দিয়েই গেছেন, আমরা উনার জন্য কিছুই করতে পারলাম না।
আমাদের প্রিয় স্যার হৃদয়ের গভীরে শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। দোয়াকরি মহান আল্লাহ যেন স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।
লেখক : সামাজিক ব্যক্তিত্ব, শমশেরনগর, মৌলভীবাজার ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।