রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন উন্নত দেশগুলোর দৃঢ় অবস্থান - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৮:৪২, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন উন্নত দেশগুলোর দৃঢ় অবস্থান

newsup
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন উন্নত দেশগুলোর দৃঢ় অবস্থান

মোহাম্মদ জমির : গত আগস্ট মাসটা বাংলাদেশের মানুষ শোক, দুঃখ, বেদনা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটিয়েছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালে আমরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যার পাঁচ বছর স্মরণ করেছি। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো এবং পুরো বিশ্বের অনেক দেশই এ কাজটি করেছে। তারা সবাই রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার সংহতি জানিয়ে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চেয়েছে, মিয়ানমারে ওই জনগোষ্ঠীর পূর্ণ প্রত্যাবাসনের অধিকার নিশ্চিত এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর দায়মুক্তি অবসানের কথা বলেছে। এটা সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দলে দলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি আবারো সামনে এনেছে, যা কখনো ভোলার নয়।
পাঁচ বছর আগের এ দিনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, নির্যাতন করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের গণহারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছে। আগেও আড়াই লাখের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছিল। নতুন করে এসেছে সাত লাখের মতো। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে। তারা পূর্ণ মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে স্বদেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে।
জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। সে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে কক্সবাজারের ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৭ জন। ২০২২ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৩ জনে। এছাড়া ক্যাম্পের বাইরে প্রায় আড়াই লাখের মতো রোহিঙ্গা বাস করছে। আবার আনুমানিক ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বাড়লেও তাদের ভরণপোষণে প্রয়োজনীয় সহায়তা কমেছে। সংগতকারণে এটা বাংলাদেশের ভয়াবহ জটিলতা ও চাপ সৃষ্টি করছে।
স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে একটি পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ওই প্রস্তাবে তিনি নিঃশর্তভাবে সহিংসতা এবং রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংকটের মীমাংসার দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেছিলেন। এরপর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়াই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন এবং ঢাকাকে সব ধরনের সমর্থন দিতে বেইজিং প্রস্তুত বলে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। একই বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, প্রতিদিন ২০০ জনকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এ প্রক্রিয়া সহজতর করতে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের একটা দীর্ঘ তালিকা তাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল।
তার পর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষক ও ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ সফর করেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় ঘুরে গেছেন এবং ভাসানচরে তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরিতে সাহায্য করেছেন। অনেক ঘোষণা, বিবৃতি দেয়া হয়েছে কিন্তু প্রত্যাবাসন কার্যকরভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের ফিরে যাওয়া একটা দূরের স্বপ্ন হিসেবে রয়ে গেছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যামূলক নীতি, জাতিভেদ ও বর্ণবাদ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে অভিগম্যতা ও চলাচলের স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ এবং পদ্ধতিগতভাবে নাগরিকত্ব অস্বীকারের একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছে। ঘিরে রাখা এলাকার বাইরে গেলে অপরাধীদের মতো তাদের ইচ্ছাকৃত গ্রেফতার, জেলে বন্দি রাখা এবং নির্মম-অন্যায্য আচরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে যেন পালিয়ে যায় সে ধরনের একটা ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যটিতে বন্দিশিবিরে থাকা ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এখন নতুন করে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ এবং সহায়তা বন্ধের পরিস্থিতির মুখোমুখি। কারণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতা সেনাবাহিনী অধিকৃত করেছে। সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বলিষ্ঠ ও সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে সামরিক নৃশংসতা তীব্রতর হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বাড়ছে, যা এখন মিয়ানমারে একটা বড় জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলছে। পাঁচ বছর অনেক কথা হয়েছে, নানা বিবৃতি এসেছে। কিন্তু সামরিক নৃশংসতা ও অপরাধ এতটুকু কমেনি। কাজেই এখন কথার চেয়ে বলিষ্ঠ কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
মানবাধিকার ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী অনেক দেশেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সাম্প্রতিক রুলিংকে স্বাগত জানিয়েছে। এ রুলিংটা এসেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যাবিষয়ক প্রাথমিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। আন্তর্জাতিক আদালত এখন গাম্বিয়ার করা মামলার সত্যতা প্রতিপাদন করেছে। এ রুলিং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে এ বার্তা দেবে, অপরাধের জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী এবং যুক্তরাজ্যের বার্মা ক্যাম্পেইনের নির্বাহী পরিচালক আনা রবার্টস মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এরই মধ্যে একটা ইতিবাচক উন্নয়ন হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যাবিষয়ক মামলায় ব্রিটিশ সরকার যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ করা দরকার, চলতি বছরের ২২ জুলাই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত মিয়ানমারের উত্থাপিত সব প্রাথমিক আপত্তিই নাকচ করেছে। গাম্বিয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি একটি স্বতন্ত্র মামলা রুজু করে। গাম্বিয়া ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে অভিযোগ করে। এরপর ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি আইসিজে একটি আদেশ জারি করে সাময়িক কিছু ব্যবস্থার কথা বলে। তারা মিয়ানমারকে জেনোসাইড কনভেনশনের পরিপালন নিশ্চিত, গণহত্যার অভিযোগসংশ্লিষ্ট সাক্ষ্যসাবুদ সংরক্ষণ এবং নিয়মিত রিপোর্ট করার বিষয়ে মিয়ানমারকে আহ্বান জানায়।
গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমার মামলার একটা প্রধান বিষয় ছিল সুনির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে অবশ্যই জেনোসাইড কনভেনশন স্বাক্ষরকারী অন্য কোনো রাষ্ট্রকে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। মিয়ানমার সেটিই ধরেছিল। তারা বলেছিল, গাম্বিয়ার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তারা সরাসরি ‘আক্রান্ত’ নয়। বাংলাদেশ ওই মামলায় সমর্থন জানালে মিয়ানমারের যুক্তি অনেকটা অপাঙেক্তয় হয়ে যায় এবং আইসিজের বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে তেমন আর অসুবিধা হয়নি।
ফৌজদারিভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে প্রচেষ্টা অবশ্যই বেগবান করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা সমব্যথী সেসব দেশের উচিত সেনাবাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন মামলা, বিশেষ করেন আর্জেন্টিনায় চলমান মামলায় সমর্থন প্রদান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্য উপায়গুলোও খুঁজে বের করা জরুরি। যেমন সেনাবাহিনীকে বিচার ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেফারেল উপস্থাপন কিংবা একটা অস্থায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যায় কিনা, সেটি খতিয়ে দেখা।
আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অঙ্গীকার ও দৃঢ়তাকেও স্বাগত জানাই। চলতি বছরের শুরুর দিকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলা হত্যাকাণ্ডকে তারা গণহত্যা হিসেবে স্বীকার করেছে। আইসিজেতে গাম্বিয়া মামলায় যোগ দিয়ে তাদের অবশ্যই জবাবহিদিতা নিশ্চিতের বিষয়টি বেগবান করতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম উৎস তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠানসহ (এমওজিই) দেশটির ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন শরণার্থীদের রিসেটলমেন্ট তাত্পর্যজনকভাবে বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়েছে, যাতে তারা দেশটিতে তাদের জীবন নতুন করে গঠন করতে পারে। এটি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাসহ কয়েক দেশ থেকে অন্য শরণার্থীদের নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক রেসপন্সের অংশ হবে।
২৪ আগস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে উচ্চ প্রতিনিধি এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো অভিযানের পঞ্চম বার্ষিকী স্মরণ করেছে। তাদের যৌথ বিবৃতিটা এ রকম: ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় গণপ্রস্থান ত্বরান্বিত করেছে। আমরা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার প্রচেষ্টাসহ দুষ্কৃতকারীদের জবাবদিহিতায় আনতে অন্য উদ্যোগগুলোর প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করি। আমরা জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বাংলাদেশকে তাদের উদারতা এবং রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে দেয়া সমর্থন-সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা সব রোহিঙ্গা এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটানো ও অধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখব। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ভুক্তভোগীদের প্রতি বিচার নিশ্চিতে এবং স্বদেশে নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণভাবে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার একটা পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্যের আহ্বান জানাই। মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ ঘিরে আলোচনায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই অর্থবহভাবে যুক্ত করতে হবে।’ এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা সবাই স্বাগত জানাই।
তবে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে নিজেদের স্বার্থে সব দিক থেকে রাশিয়া এবং চীন কর্তৃক দেয়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতি সমর্থনের অবসান ঘটানোর বিষয়টি বিশ্ব দেখতে চায়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাশেলে (যার মেয়াদ ৩১ আগস্ট শেষ হয়েছে) সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর করেছেন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। মিয়ানমারবিষয়ক ইউএনএসজির বিশেষ দূতও মিয়ানমার ঘুরে গেছেন এবং ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনিও বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন। অবশ্য তাদের আশ্বাস যথেষ্ট নয়। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাকে এক্ষেত্রে অবশ্যই চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত; আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, তথ্য অধিকার ও সুশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।