বেপরোয়া মৌসুমি জেলেরা ধরা হচ্ছে মা ইলিশ
১৭ অক্টো ২০২২, ০১:২৩ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদন: দিনের বেলায় ক্রেতার সঙ্গে দরদাম ঠিক করে রাতে মা ইলিশ সরবরাহ করছেন অসাধু জেলেরা। এ ক্ষেত্রে কেজি থেকে শুরু করে প্রায় দুই কেজি ওজনের ইলিশ মিলছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। এসব মাছ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কিনছেন খোদ পুলিশ সদস্যরাও। আর প্রতিটি ইলিশের পেটে রয়েছে ডিম, যা থেকে জন্ম নিতো লাখ লাখ ইলিশ।
বরিশালের শায়েস্তাবাদ উপজেলার আড়িয়াল খা শাখা নদী থেকে শুরু করে মুলাদী, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জ, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় এভাবে প্রতি রাতে মা ইলিশ নিধনে মহোৎসবে মেতেছে মৌসুমি জেলেরা।
সাধারণ ক্রেতা সেজে দিনের বেলায় ইলিশের দরদাম ঠিক করা হয়। রাত সাড়ে ১০টায় চুপিসারে দুটি বড় সাইজের ইলিশ মেলে, যার ওজন ছিল প্রায় ৩ কেজি। দাম দিতে হয়েছে দেড় হাজার টাকা। এরপর যার মাধ্যমে কেনা হয়, তার মাধ্যমেই টাকা দিতে হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে এভাবেই জানা যায় অসাধু জেলেদের ইলিশ নিধন কার্যক্রম।
ইলিশের সঙ্গে ধরা পড়ছে ঢাউস সাইজের পাঙাশ মাছ, যা তাদের বাড়তি আয় এনে দিচ্ছে বলে জানান একাধিক জেলে জানান। ইতিমধ্যে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বড় বড় সাইজের পাঙাশ। এসব পাঙাশ আবার খালের পাড়ের পানিতে বেঁধে রেখে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
সবচেয়ে বেশি মা ইলিশ নিধন চলছে হিজলা উপজেলার মেঘনা নদী থেকে। সেখানে দলবদ্ধ হয়ে জেলেরা ইলিশ শিকারে নামে। তারা জেল-জরিমানা কোনও কিছুই মানছে না। প্রশাসন থেকে অভিযান চালাতে গেলে উল্টো তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গত বছরও একইভাবে অভিযান চলাকালে ইউএনওসহ পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। এ বছরও একইভাবে তারা হামলা চালিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশসহ ২০ জনকে আহত করে।