বিশেষ প্রতিবেদন: ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর বঙ্গোপসাগরের একটি বিশাল অঞ্চলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের কারণে সমুদ্রসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের কারণে সমুদ্রসম্পদ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের প্রতি মানুষের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে টেকসইভাবে এর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘সমুদ্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ এবং এর টেকসই উন্নয়ন।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড় এবং টাইডাল সার্জ (জোয়ারের ঢেউ) সংখ্যা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে দূষণ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। কলকারখানার বর্জ্য, জমিতে অধিক সারের ব্যবহার, প্লাস্টিক পানিতে ফেলে দেওয়া, পুরোনো অস্ত্র সমুদ্রে ডাম্প করাসহ বিভিন্ন কারণে সমুদ্র দূষণ হয় যা সমুদ্রসম্পদ নষ্ট করছে।
সমুদ্রে পানির মান কমে যাওয়ার কারণে ওই পানিতে মাছের খাদ্য তৈরি করার সক্ষমতা কমে যায় এবং কখনও কখনও সমুদ্রে হাইপোক্সিয়া (অক্সিজেনের মাত্রা কম) অঞ্চল তৈরি হয়, যেখানে মাছ বাস করতে পারে না। আমাদের নিজস্ব কোনও স্টাডি নেই। তবে জার্মানির মাস্কপ্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট আমাদের জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে হাইপোক্সিক অঞ্চল আছে, তিনি জানান।
মো. খোরশেদ আলম বলেন, সমুদ্রের টেকসই ব্যবহারের জন্য সমাজে সচেতনতা দরকার। যদি লক্ষ করেন, দেখা যাবে, বোঝা যাবে মানুষ সমুদ্রে দূষণ করছে এবং এর ফলে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতির ওপর।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।