মূল্যস্ফীতিই এই সময়ের প্রধান সমস্যা - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সন্ধ্যা ৭:২০, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

মূল্যস্ফীতিই এই সময়ের প্রধান সমস্যা

banglanewsus.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২২
মূল্যস্ফীতিই এই সময়ের প্রধান সমস্যা

ড. আতিউর রহমান ::: শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়েই বইছে মূল্যস্ফীতি নামের ‘লু’ হাওয়া। বিশ্বের বর্তমান গড় মূল্যস্ফীতি ১৯৭০ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে। গত ছয় মাসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ হয়েছে। এর হার লিথুয়ানিয়ায় ১৫.৫ শতাংশ হয়ে গেছে।
পোল্যান্ডে ১১ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে ৯ শতাংশ। এশিয়ায়ও এই হার কম নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ শতাংশ। ভারতে ৭ শতাংশ। বাংলাদেশে ছিল গত সেপ্টেম্বরে ৯.১ শতাংশ। তবে সারা বছরের গড় অঙ্ক ৭ শতাংশের বেশি নয়। অবশ্যই এটি সরকারি হিসাব। সে জন্য ভোক্তাদের পণ্য ও সেবা কেনাকাটার চাহিদাও সর্বনিম্নে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একের পর এক নীতি হার বাড়িয়ে চলেছে। তাতে আবার মন্দা ত্বরান্বিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘দ্য ফেড’ এ বছর ছয়বার তার নীতি হার বাড়িয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়ে চলেছে নীতি সুদহার বৃদ্ধির সেই ধারা এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। ‘হেডলাইন’ মূল্যস্ফীতির দুটি অংশ—বাড়ির দাম ও পণ্যের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে এ দুটোরই কমার কথা। কিন্তু এখনো এ দুটো খাতের দাম বাড়ন্তই বলা চলে। পণ্য দামের অংশ হিসেবে সারের দামের কথা উঠে আসে। এর প্রভাবেই খাদ্যমূল্য বেড়ে চলেছে। সঙ্গে সেচের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কথাও এসে যায়। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে যে ২০২১ সালের পর এখন খাদ্যমূল্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে। এমনকি ২০০৮ এবং ২০১১ সালের খাদ্য মূল্যস্তর থেকেও এখন তা ঢের বেশি। অবশ্যই হালে খানিকটা কমেছে। তবু কভিডের আগের চেয়ে বেশি। কভিডের কারণে সরবরাহ চেইন ভেঙে গিয়েছিল। জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তা আরো বেড়েছে। ভয়ের বিষয় হলো, এই দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। সবাই ধরে নিয়েছে যে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে। এই মনস্তত্ত্ব মূল্যস্ফীতিকে আরো উসকে দেয়। এই মূল্যস্ফীতি বাগে আনতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করছে, তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তার ‘পলিসি রেট’ একাধিকবার বাড়িয়েছে। কিন্তু সুদ ব্যবস্থাপনার বাস্তবতায় তার প্রভাব সেভাবে চাহিদা নিয়ন্ত্রণের ওপর পড়েছে বলে মনে হয় না। তবু ভোগ্য পণ্যের ঋণ ব্যবস্থায় বেশ খানিকটা সুদের হার বাড়ানো গেছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির যে হার তা সবার জন্য সমান নয়। বিশেষ করে শহরের শ্রমজীবী মানুষের এই হার আরো অনেকটাই বেশি হওয়ার কথা। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ নগরের এই দরিদ্র্যজনদের ওপর যে মাত্রায় পড়ছে, গ্রামে কিন্তু ততটা নয়। হালে চালের দাম কিছুটা কমেছে। চালের সরকারি মজুদ ভালোই। তা আরো বাড়ানোর জন্য আমদানি ও অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ অভিযান জোরদার করার চেষ্টা চলছে। আমার মনে হয় আমদানি মূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে চাল সংগ্রহ মূল্য আরেকটু বাড়ানো গেলে এ সংকটকালে কৃষকের কিছুটা সুবিধা হতো। তবে শেষবেলায় বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ সত্ত্বেও বাংলাদেশে এ বছর আমন ধানের বাম্পার উৎপাদন হবে বলেই মনে হয়। উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড আমন ধানের উৎপাদন এ বছর বেশ ভালো হবে। জানা গেছে যে এ বছর আগের বছরের চেয়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন বেশি আমন ধানের উৎপাদন হবে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মতে, এ বছর সর্বমোট ১.৬৩ কোটি মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। মোট ধান উৎপাদনের ৩৭ শতাংশ হয় আমন। আউশ ও বোরো মিলে ৬৩ শতাংশ। এ বছর ধানের দাম অপেক্ষাকৃত বেশি ছিল। তাই কৃষক বেশি করে সব ধরনের ধানের উৎপাদন করেছেন। একই সঙ্গে সরকার এ বছর চালও বেশি করে আমদানি করেছে। সামনেই বোরোর আবাদ। বোরোও যাতে বেশি করে উৎপাদিত হয় সরকার সেদিকে কড়া নজর রাখছে। বোরো ধান উৎপাদনের জন্য এখনই হাওরের বাঁধ পুনর্বাসনে সংশ্লিষ্টজনের মনোযোগী হওয়া জরুরি। অন্যদিকে বোরো ধানের জন্য কৃষকের প্রয়োজনীয় সার, সেচ এবং বীজ পেতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, তা এখন থেকে খুবই মনোযোগ দিয়ে মনিটর করে যেতে হবে।

কয়েক সপ্তাহ আগে আমি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। ওই সভায় মাঠ থেকে আসা কৃষক এবং সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের যে আস্থার সঙ্গে কথা বলতে দেখেছি তা সত্যিই অবাক করার মতো। ঈশ্বরদী থেকে একজন নারী কৃষক এসেছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। তিনি বললেন, ‘আমরা থাকতে দেশে কেন খাদ্যসংকট দেখা দেবে?’ একই মনোভাব প্রকাশ পেল দুজন নারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কাছ থেকে। মনে হলো তাঁদের নিজ নিজ এলাকার কৃষির বিকাশের পুরো দায়িত্ব তাঁরা আস্থার সঙ্গেই গ্রহণ করেছেন। যদি বিএডিসিসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি খাতের কৃষি উপকরণ সরবরাহকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকদের প্রয়োজনমতো উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ খাদ্যসংকটের কোনো শঙ্কা থাকতে পারে না। বোরো যখন চাষ হবে তখন থাকবে শীতকাল। তাই ওই সময় গ্রামে সারা রাত কৃষির জন্য সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা মুশকিল হওয়ার কথা নয়। শুনেছি ভারত থেকে উত্তরবঙ্গে ডিজেল সরবরাহের একটি পাইপলাইন চালু হবে। এই শীতেই যদি তা চালু করা যায়, তাহলে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের ডিজেল পাওয়াটা বেশ সহজ হবে। রামপাল বা পায়রা বন্দরে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে যাচ্ছে, তা যেন সহসাই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় সেদিকেও তীক্ষ নজর রাখার প্রয়োজন রয়েছে। আর সোলার ইরিগেশন পাম্প যাতে বেশি করে চালু করা যায় সে জন্য বিএডিসি, ইডকল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চয় এখনই বসতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য পঁচিশ হাজার কোটি টাকার তহবিল চালু করেছে তার একটা অংশ এই কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে দুটো লাভ হবে। জ্বালানিসংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের দিকে এগোনো যাবে (কেননা সৌরশক্তির প্রযুক্তিগত মান উন্নতর ও সস্তা হয়েছে) এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। বিএডিসির সঙ্গে করলে এই কর্মসূচিতে সরকারের দেওয়া যন্ত্র কেনা বাবদ ভর্তুকি বিতরণও অর্থবহ হবে। প্রয়োজনে এই ভর্তুকির পরিমাণ আরেকটু বাড়ানো যেতে পারে।

এসবের সঙ্গে ম্যাক্রো অর্থনীতির অন্যান্য অংশের ভূমিকাও পর্যালোচনার দাবি রাখে। বিশেষ করে হঠাৎ ডলারের বিপরীতে টাকার প্রায় ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়নের কারণে খাদ্য ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দামও ওই পরিমাণ বা তার চেয়েও বেশি হারে বেড়ে যাওয়ার কথা। অন্যদিকে এনবিআর এসব পণ্যের ওপর যে আমদানি শুল্ক আরোপ করত তাও প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের ওপর শুল্কের যে আচমকা উল্লম্ফন ঘটল তা থেকে কিছুটা ছাড় দিলে নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষের মূল্যস্ফীতির চাপ খানিকটা হলেও উপশম হবে। তবে এনবিআর চাল ও গম আমদানি শুল্ক এমনিতেই কমিয়ে দিয়েছে। এখন শিশুখাদ্য, ওষুধপত্র এবং অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক (যা ২৫ শতাংশের মতো এমনিতেই বেড়ে গেছে) যদি ১৫-২০ শতাংশ কমানো যেত, তাহলে এসব পণ্য কেনা সাধারণ মানুষের জন্য বেশ খানিকটা সহজ হতো। তা ছাড়া তিন হাজার ৪০০টির মতো ট্যারিফ লাইনে (মোটের ওপর ৪৫ শতাংশ) ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি ধার্য করা আছে। যখন এমনিতেই ২৫ শতাংশ বেশি শুল্ক টাকার অবমূল্যায়নের কারণে পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে এই ৩ শতাংশ শুল্ক মওকুফ করলে তেমন ক্ষতি হবে না। মানুষ খানিকটা হলেও রেহাই পাবে। আর খাদ্য ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যের বেলায় আরো বেশি ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব তো আগেই দিয়েছি। এমনিতেই শুল্ক সহজীকরণ ও যৌক্তিকীকরণের দাবি রয়েছে। এই কাজটি করা গেলে সেই দাবিটিও পূরণ করা যাবে। শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর অফিস এ বিষয়ে কাজ করেছে। তাদের সাফল্য কামনা করছি। অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেমনটি বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসপণ্যের ওপর শুল্ক বরং আরো বাড়িয়ে দেওয়া হোক। তিনি ঠিকই বলেছেন, কয়েক মাস দামি গাড়ি এবং দামি ফল বিদেশ থেকে ডলার খরচ করে না কিনলে কী এমন ক্ষতি হবে। শুধু মার্জিন বাড়িয়ে এদের ঠেকানো যাচ্ছে না। তাই শুল্ক বাড়ান। পারলে মুখে মুখে ব্যাংকগুলোকে এসব পণ্যের আমদানি শ্লথ করে দিতে বলা হোক। এসব পণ্যের ব্যাংকঋণের সুদের হারও কনজ্যুমার ঋণের হারের সমান বা তার চেয়েও বেশি করা হোক।

তবে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে বর্তমান মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কেননা এর প্রধান উৎস দেশের বাইরে। পাশাপাশি বিশেষ করে নগরের ভাসমান মানুষ এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কম আয়ের মানুষদের জন্য বাড়তি সামাজিক সংরক্ষণ কর্মসূচির ব্যবস্থা করাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার এখন এক কোটি পরিবারের জন্য কম দামে খাদ্য সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা দিচ্ছে। প্রয়োজনে এই কার্ডের সংখ্যা শুধু নগরের মানুষদের কথা মনে রেখে দ্বিগুণ করা যেতে পারে। প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্ধ্যা ৭টার পর ঘণ্টা তিনেকের জন্য খোলা রাখা যায় এমন স্থান/দোকান (মাঠও হতে পারে) নির্ধারণ করে ওই কার্ডধারীদের মাসে দুবার কম দামের খাদ্যের প্যাকেট সংগ্রহ করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। আর খোলাবাজারে ট্রাকে খাদ্যপণ্য বিক্রি অব্যাহত থাকুক। এর বাইরে কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্যও অন্তত ৫০ লাখ কার্ড দেওয়া সম্ভব। তাঁরা গার্মেন্ট বা রপ্তানিমুখী কারখানায় কাজ করেন। এ বাবদ খাদ্য সাবসিডির অর্ধেকটা মালিকরা এবং সরকার বাকি অর্ধেকটা দেবে—এই ব্যবস্থায় এমন কার্ডধারীদের মাসে অন্তত দুবার নিজ নিজ কারখানায়ই এমন কম দামের খাদ্য দেওয়া সম্ভব। মোটকথা, এই সংকটকালে সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রমাণ রাখাটা জরুরি। শ্রমিকের দেয় মূল্য মালিকরাই মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নেবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে শোধ করে দেবে। এ জন্য সরকারের সামাজিক সুরক্ষা তহবিল যদি বাড়াতে হয়, তা বাড়ানো হোক। এই দুঃসময়ে মানুষ বাঁচানোই বড় প্রশ্ন।

সব শেষে বলব, ম্যাক্রো অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা গেলেই এসব কর্মসূচি সম্পন্ন করা সহজ হবে। সে জন্য ডলার-টাকা বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক স্থিতিশীল করাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। একাধিক বিনিময় হার থেকে বাজারভিত্তিক একটি হারের দিকে যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকও উৎসাহী। কিন্তু এ জন্য ধীরে চলা নয়। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে ডলার বাজারে ‘স্পেকুলেশন’ বাড়বে। বিপুল পরিমাণের বাণিজ্য ঘাটতির কারণে চলতি হিসেবে যে পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তা সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার যথেষ্ট সচেষ্ট। সে কারণেই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এরই মধ্যে এই ঋণ চূড়ান্ত হয়েছে। এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত ঋণও চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। এ জন্য হয়তো বেশ কিছু নীতি সংস্কার আমাদের করতে হবে। অথবা সেসবের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। নীতি সংস্কার অর্থনীতির জন্য ক্ষতি নয়। বরং তা অর্থনীতিতে সুফলই নিয়ে আসবে। বাংলাদেশের ওপর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আস্থাও বাড়বে। তাই সব অংশীজনকে সারা বিশ্বের এই সংকটকালে ঠাণ্ডা মাথায় একে অন্যের পাশে থেকে সংকট মোকাবেলার সুদৃঢ় মনোবল ও সুচিন্তিত মনোভাবের প্রত্যাশা করছি। আতঙ্ক ছড়ায় এমন অযথা কথা কারো কাছ থেকেই এ সময় প্রত্যাশিত নয়। গণমাধ্যমও এ বিষয়ে সুবিবেচনার পরিচয় দেবে বলে আশা করা যায়।

লেখক : উন্নয়ন সমুন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।