ডেস্ক নিউজ: গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন ব্যক্তির সুপারিশ গ্রহণের প্রচলন আছে সমাজে। সমাজের যে ক্ষেত্রে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে, সে ক্ষেত্রে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ইসলামী শরিয়তে মৌলিকভাবে সুপারিশ বৈধ এবং নেকির কাজ। আর সুপারিশ করার ক্ষেত্রে শরিয়তের সীমালঙ্ঘন করলে তা অবৈধ এবং পাপের কাজ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ কোনো ভালো কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে এবং কেউ কোনো মন্দ কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে নজর রাখেন। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৫)
সুপারিশ করা পুণ্যের কাজ: ইসলামের দৃষ্টিতে সুপারিশ করা শুধু বৈধ নয়; বরং তা কখনো কখনো সওয়াব লাভের মাধ্যম। হাদিসে এসেছে,
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে যখন কোনো সাহায্যপ্রার্থী আসত কিংবা তাঁর কাছে কোনো প্রয়োজনের কথা বলা হতো, তখন তিনি বলতেন, তোমরা সুপারিশ কোরো, তাহলে তোমরা পুরস্কৃত হবে। আর আল্লাহ যা চান, তাঁর নবীর জবানে সেই ফয়সালা করাবেন। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪৩২)
কারো জন্য সুপারিশ করার অর্থ হলো ব্যক্তির পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া। সুতরাং সাক্ষ্য দানে যেসব বিষয়ের শর্তারোপ করা হয়, তা সুপারিশের ক্ষেত্রেও করা হবে। যেমন জেনে-বুঝে সুপারিশ করা, সত্য বলা, সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ না ঘটানো ইত্যাদি। হাদিসে এসেছে, নবী কারিম (সা.) একবার হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। তখন সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি কি তোমাদের বলব বড় বড় গুনাহ কী? সাহাবারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, অবশ্যই বলুন। রাসুল (সা.) বললেন, বড় বড় গুনাহ হলো আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা ও মা-বাবার অবাধ্য হওয়া। এ কথা বলে, রাসুলুল্লাহ (সা.) হেলানাবস্থা থেকে সোজা হয়ে বসে পড়লেন এবং বললেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। তিনি কথাটি তিনবার বললেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪২)
সুপারিশ করা অন্যায় যখন:
সুপারিশ করা অন্যায় হয় দুই কারণে। যখন তা কোনো অযোগ্য ব্যক্তির জন্য করা হয় অথবা যখন কোনো অন্যায় কাজের জন্য করা হয়। মহান আল্লাহ বলেন,
‘কেউ কোনো মন্দ কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে নজর রাখেন। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৫)
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।