শেরপুর জেলার স্মৃতিস্তম্ভ গুলো সংস্কার জরুরি - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ২:২৭, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

শেরপুর জেলার স্মৃতিস্তম্ভ গুলো সংস্কার জরুরি

newsup
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১২, ২০২২
শেরপুর জেলার স্মৃতিস্তম্ভ গুলো সংস্কার জরুরি

ডেস্ক নিউজ: ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুরের ঝিনাইগাতী অ লকে শক্রমুক্ত করে। জানাগেছে, ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টায় ঝিনাইগাতীর শালচুড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে। এরপর আহমদনগর পাকিস্তানী হেড কোয়ার্টারের সৈনিকদের সঙ্গে নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুর শহরে আশ্রয় নেয়। এর পর বিনা যুদ্ধে ঝিনাইগাতী শক্রমুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত ঝিনাইগাতীতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ায়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮বছরেও এ উপজেলার শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন সম্ভবলিত স্থানগুলো (গণকবর) সংরক্ষণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী শতশত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে এনে এ উপজেলার আহমদনগর, জগৎপুর, ঘাগড়া কোনাপাড়া ও নকশি গ্রামে নির্বিচারে হত্যা করে গণকবর দেয়। এর মধ্যে দু-একটি সংরক্ষণ হলেও রয়েছে অযত্ন ও অবহেলার অভিযোগ।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাগড়া কোনাপাড়া গ্রামে গণকবরের পাশে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি (অপরিপূর্ণ) অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে। তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। স্মৃতিস্তম্ভের বেশির ভাগ অংশে শেওলা পড়েছে, ময়লা-আবর্জনা, পাশের কবরগুলোও অপ্রয়োজনীয় গাছ-গাছালি দিয়ে ঢেকে আছে। আহমদনগর গ্রামের গণকবরটি চিহ্নত হলেও এখানে কোন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি। এছাড়া অন্যগুলো সংক্ষরণের অভাবে শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন প্রায় মুছে যাওয়ার পথে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুরুজ্জামান আকন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এত দিন পর স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এ সরকারের আমলে এ উপজেলার ঘাগড়া কোনাপাড়া গ্রামের স্মৃতিস্তম্ভটি অযত্ন ও অবহেলায় থাকবে, এটি মেনে নেয়া যায় না। আজ পর্যন্ত এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। কৃর্তপক্ষের নজরদারি না থাকায় এখানে অবাধে বিচরণ করে গরু-ছাগল। শুকানো হয় গরুর গোবর। এটি জাতির জন্য খুবই লজ্জা ও দুঃখজনক বিষয়।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ভবিষৎ জন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত করতে হলে এসব বধ্যভূমি (গণকবর) সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এ মুক্তিযোদ্ধা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।