ঢাবিতে কোণঠাসা বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, ভোর ৫:০১, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ঢাবিতে কোণঠাসা বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো

newsup
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
ঢাবিতে কোণঠাসা বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো

বিশেষ প্রতিবেদন: বাংলাদেশের রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি)। মুক্তবুদ্ধিচর্চার অন্যতম সেরা স্থানও এই বিদ্যাপীঠ। দলমত-নির্বিশেষে সবাই অবস্থান করেন এখানে। যুগের পর যুগ এ রকমই ছিল ঢাবির পরিবেশ। তবে এখন এই সহাবস্থানকে কেবলই অতীত স্মৃতি বলছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বাইরে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, ২০১৮ সালে ডাকসু নির্বাচনের পর ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ডাকসুর মেয়াদ শেষে আবারও একই অবস্থা বিরাজ করছে এখন। তারা বলছে, ক্যাম্পাসে সরকার-সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোর একক আধিপত্য ধরে রাখতে হামলা-মামলা করে বিরোধী সংগঠনগুলোকে কোণঠাসা করে রাখতে চায়। এ কারণে বিভিন্ন সময় বিরোধী দলগুলোর ওপর পরিকল্পিতভাবেও হামলা চালায় ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।

তবে ছাত্রলীগ বলছে, অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি করার বিষয়ে যথেষ্ট সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে এবং এই দুর্বলতা ঢাকতেই তারা দোষারোপ করছে।

ক্যাম্পাসে সহাবস্থান না থাকার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ওপর দিচ্ছে বিরোধী সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সংগঠনের অভিভাবক। তাদের উচিত সব শিক্ষার্থীর জন্য ক্যাম্পাসে সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ ছাড়া আর কোনও সংগঠনের প্রতি নজর দেয় না। ছাত্রলীগের সব অনৈতিক কার্যক্রমেও নীরবে সমর্থন দিয়ে যায়।

বিরোধী সংগঠনগুলোর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন দলমত-নির্বিশেষে সব সংগঠনের জন্য ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাবি শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনও সহাবস্থানের পরিবেশ নেই। বর্তমান সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য বারবার বিরোধী সংগঠনের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে ছাত্রদলের ওপর গত মে মাস থেকে যেসব হামলা হয়েছে, এ বর্বরতার শেষ সীমায় পৌঁছেছে। ডাকসু নির্বাচনের পর কিছুটা সহাবস্থান থাকলেও, বর্তমানে তা কেবলই অতীত স্মৃতি।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে আমাদের সব শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু তারা পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানাই।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করে এবং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আমাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ছাত্রলীগ ছাত্র সংগঠনগুলোর একতার ভিত্তিতে যেন ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে, সেটি নিয়ে নিরন্তর কাজ করে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই হচ্ছে মৌলবাদের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের শত্রুর বিরুদ্ধে। আজ যারা নিছক দোষারোপের জন্য ছাত্রলীগের বিষয়টিকে সামনে এনেছে, আমরা মনে করি তারা নিজের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকার জন্য এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের বিচ্ছিন্নতাকে কূটকৌশলে আড়াল করার জন্য এটি করছে।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।