গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় – BANGLANEWSUS.COM
  • ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

newsup
প্রকাশিত জানুয়ারি ২, ২০২৩
গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বিশেষ প্রতিবেদন: কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নালিয়ার দোলাকে নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের টেকনিক্যাল টিম পরিদর্শন ও পর্যালোচনার পর এ সুপারিশ করেছে।

নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের নেপথ্যের কারণ জানতে শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, ইউজিসির টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তারা মনে করছেন, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে ইউজিসির সুপারিশ বাস্তবসম্মত।

নালিয়ার দোলা

কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণে সদরের মোঘলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম মৌজা ও বেলগাছা ইউনিয়নের সড়া মৌজায় নালিয়ার দোলা অবস্থিত। এই স্থানটি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত। এখানে সরকারের খাসসহ প্রায় ৪০০ একর জমি রয়েছে। এটি এক ফসলি এবং এর পাশ দিয়ে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথ ও সড়ক পথ গেছে।

ইউজিসির প্রতিবেদন

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের জন্য ইউজিসি গঠিত তিন সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। একই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জেলা প্রশাসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সদর উপজেলার সার্ভেয়ারসহ প্রস্তাবিত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। পরে কমিটি নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সুপারিশ করে জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত স্থানসমূহ সম্পর্কে কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, প্রস্তাবিত তিনটি স্থানের মধ্যে টগরাইহাটের গর্বের দোলা স্থানটির গভীরতা তুলনামূলক বেশি (প্রায় ৮-১২ ফুট)। গভীর ডোবা ভরাট করতে খরচের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। স্থানটির দূরত্ব মূল শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। সেখানে রেলের খাস জমির পরিমাণও বেশি। ফলে অধিগ্রহণে জটিলতা তৈরি হবে। প্রস্তাবিত দাসেরহাট নামক স্থানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। পক্ষান্তরে নালিয়ার দোলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কুড়িগ্রাম-চিলমারী মহাসড়কের পাশে। রেল, নৌ ও সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। প্রস্তাবিত এই স্থানটি তুলনামূলক উঁচু ও ফাঁকা জায়গার পরিমাণ আনুমানিক ৪০০ একর। রৌমারী-চিলমারী ও গাইবান্ধা এলাকায় প্রস্তাবিত ও নির্মাণাধীন সেতু স্থাপিত হলে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। নালিয়ার দোলায় ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা সম্প্রসারণ করা যাবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।