ডেস্ক নিউজ: নামাজে একাগ্র থাকা নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে, যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
তবে অনেক সময় নামাজি ব্যক্তির মনোযোগ ছুটে যায় নামাজ থেকে। বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা চলে আসে মনে। তখন অনেক সময় নামাজের রাকাত সংখ্যা এবং সিজদার সংখ্যা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যায়। তখন নামাজ কিভাবে শেষ করবেন এনিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান নামাজিরা।
এ বিষয়ে আলেমরা বলেন, নামাজে কারো যদি সেজদার সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয় এবং তার মন কোনো সংখ্যার দিকেই না ঝুঁকে তাহলে তার জন্য করণীয় হলো আরেকটি সেজদা করে সাহু সেজদার মাধ্যমে নামাজ পূর্ণ করবে। কাজেই কারও এমন হলে করণীয় হলো- আরেকটি সেজদা করে নিতে হবে এবং শেষে সাহু সেজদা করে নামাজ শেষ করতে হবে।
তবে কারও যদি নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়, এমন সমস্যার ক্ষেত্রে নামাজির প্রথম কাজ হলো— চিন্তা করে দেখবেন যে, তিনি আসলে কত রাকাত পড়েছেন। তখন প্রবল ধারণা যেটির পক্ষে সায় দেয়, তার ওপর ভিত্তি করে বাকি নামাজ পূর্ণ করবেন। আর যদি নামাজের রাকাতসংখ্যার ব্যাপারে প্রবল ধারণা না হয়, তাহলে কম সংখ্যাটা ধরবেন এবং এ হিসেবে বাকি নামাজ পূর্ণ করবেন। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাতের পর বৈঠক করে তাশাহহুদ পড়তে হবে। আর শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা আদায় করতে হবে।
আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারো যদি নামাজের মধ্যে সন্দেহ হয়, ফলে সে জানে না যে এক রাকাত পড়ল না কি দুই রাকাত। তাহলে সে যেন এক রাকাত ধরে নিয়ে নামাজ পড়ে। আর যদি দুই রাকাত পড়ল না তিন রাকাত, তা না জানে তাহলে যেন দুই রাকাত ধরে নামাজ পড়ে এবং (এসব ক্ষেত্রে) সালাম ফেরানোর পূর্বে দুইটি সিজদা আদায় করে (অর্থাৎ সাহু সিজদা করে)। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৯৮)
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।