ডেস্ক নিউজ: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাত শেষে বিশ্ব ইজতেমা থেকে বের হয়েছে ২৭৭৪টি জামাত। এর মধ্যে দেশি জামাত রয়েছে ২৪৮০টি। বিদেশি ২৯৪টি এবং মাস্তুরাত (মহিলা) জামাত ১৬টি।
বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান করেন মাওলানা মাওলানা ইবরাহিম দেওলা, বয়ানের অনুবাদ করেছেন কাকরাইলের শূরা সদস্য মাওলানা কারী জোবায়ের আহমাদ।
শেষ দিনের হেদায়েতি বয়ানে তাবলিগের ৬ উসুল নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং যারা আল্লাহর রাস্তায় চিল্লার জন্য বের হবেন তারা কিভাবে কাজ করবেন এ নিয়ে দিকনির্দেশনাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এছাড়া যারা ইজতেমা ময়দান থেকে নিজ বাড়ি বা এলাকায় ফিরবেন তাদেরকে তাবলিগের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শেষ দিনের হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা হয়েছে। মোনাজাতে বিশ্বশান্তি, কল্যাণ কামনা, মুসলমানদের ঈমান হেফাজত, পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ব, উন্নত আখলাক গড়ার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আখেরি মোনাজাতে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য তওবা, সারা দুনিয়ার মুসলমান নর-নারীর গুনাহ মাফ, ঈমানের হাকিকত, ঈমানের জামাত, ঈমানি ভয়, ঈমানি মৃত্যু, ঈমানি ভ্রাতৃত্ব মজবুত করা, ঈমানি রিজিক, ঈমানের সঙ্গে কবরে ও আখেরাতে পুনরুত্থিত হওয়ার তাওফিক চাওয়া হয়।
মোনাজাতে মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ঈমানের চেয়ে বড় কিছু নেই। ঈমান হারা না হয়ে ঈমানের সঙ্গে চলার তাওফিক কামনা করেন। ঈমানের দাবি যেন পালন করতে পারে মুসলমানরা সেজন্য আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ কামনা করা হয়।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।