শিশুর আকিকা দিতে হয় যে কারণে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৫:৪২, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

শিশুর আকিকা দিতে হয় যে কারণে

newsup
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
শিশুর আকিকা দিতে হয় যে কারণে

ডেস্ক নিউজ: সন্তান জন্মের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করাকে শরিয়তে আকিকা বলে। আকিকা করা মুস্তাহাব। মহানবী (সা.) নাতি হাসান ও হোসাইন দুজনের পক্ষ থেকে আকিকা করেছেন। সাহাবায়ে কেরামও এর ওপর আমল করেছেন।

সন্তানের জন্মগ্রহণ পিতা-মাতার জন্য চরম আনন্দের। এজন্যই শরিয়ত এ নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আকিকার নির্দেশ করেছে। মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে বলেছে। বাচ্চার আকিকা না করা হলে বাচ্চা বিপদ-আপদে জর্জরিত থাকে। আকিকা হয় তার ফিদিয়া বা বিনিময়। এর দ্বারা বাচ্চার বিপদ-আপদ দূর হয়।

সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটা ছেলে আকিকার বিনিময়ে বন্ধক থাকে। অতএব তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিন পশু জবাই করা হবে, তার নাম রাখা হবে এবং মাথা মুণ্ডানো হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৫২২)

বাচ্চার আকিকা করার কারণে কিয়ামতের দিন বাবা সন্তানের সুপারিশের উপযুক্ত হবে। এছাড়াও আকিকার মাধ্যমে মুসলমানদের মাঝে মহব্বত-ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় হয়। কারণ, নবজাতকের খুশিতে একই দস্তরখানে ধনী-গরিব সবার সম্মিলট ঘটে।

আকিকা কে করবে

সন্তান যেহেতু মা-বাবার জন্য নিয়ামত এজন্য আকিকাও তাদেরই করা দায়িত্ব। মা-বাবার সামর্থ না থাকলে দাদা-দাদি, নানা-নানি করতে পারবে।

আকিকার জন্য কয়টি পশু লাগবে

ছেলেসন্তান হলে একই ধরনের দুটি বকরি আর কন্যাসন্তান হলে একটি বকরি জবাই করতে হয়। ছেলের জন্য গাভী, উট, মহিষের দুই অংশ এবং মেয়ে হলে এগুলোর এক অংশ জবাই করা কিংবা ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই বড় পূর্ণ পশু দ্বারা আকিকা করা সবই জায়েজ।

কারও সামর্থ না থাকলে ছেলের জন্য একটি বকরি আকিকা করলেও কোনো অসুবিধা নেই। যদিও দুটি করা উত্তম। (তানকিহুল হামিদিয়া : ২/২৩৩) কেউ কোনো আকিকা না করলেও অসুবিধা নেই; কেননা আকিকা করা মুস্তাহাব আমল। ওয়াজিব বা বাধ্যতামূলক নয়। (বেহেশতি জেওর : ৩/৪৩)
কন্যাসন্তানের জন্য কি মাদি পশু আকিকা করতে হয়?

অনেকেই মনে করে, ছেলেসন্তান হলে নর পশু আর মেয়ে হলে মাদি পশু আকিকা করতে হয়। মহানবী (সা.) তাদের এ ধারণার অপনোদন করেছেন। উম্মে কুরজ (রা.) রাসুল (সা.)-কে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ছেলের জন্য দুই বকরি এবং মেয়ের জন্য এক বকরি। পশুগুলো নর-মাদী হওয়া তোমাদের কোনো ক্ষতি করবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৫১৬)

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।