ডেস্ক নিউজ: সংরক্ষিত রাতারগুল বনে ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে বাঁধ। সেজন্য বনের শ্রেণির রকম পরিবর্তন করছে বন বিভাগ।
তাদের সৃষ্ট লেকে নৌকা রেখে পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি সাড়ে ৭শ’ টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অথচ নৌকায় চড়ে বনের ধারে নেমে পর্যটকদের প্রথমেই গুনতে হয় ৮৫০ টাকা। ফলে রাতারগুল ঘুরতে আসা পর্যটকদের দুই দফা ভাড়া দিতে হচ্ছে।
গত আগস্ট মাস থেকে এমন ঘটনা ঘটছে সিলেটের সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুলে। এ নিয়ে পর্যটকরাও ত্যাক্ত বিরক্ত। অনেকে ক্ষোভ থেকে সিলেট বিদ্বেষী মনোভাবও পোষন করছেন। আর ভাড়া আদায়ে টানাটানি নিয়ে পর্যটক ও ইজারাদারদের মধ্যে বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, বনের ভেতরের নৌকায় টাকা আদায় বৈধ, বরং ইজারাদার টাকা নিতে পারেন না। আর ইজারাদার বলছেন, জেলা পরিষদের ইজারা শর্তে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত তাদের আওতাধীন। বরং বনের ভেতর ও ইজারা বহিঃর্ভূত অন্য দু’টি ঘাটে টাকা আদায় হচ্ছে বন বিভাগের যোগসাজসে। আর বনবিভাগ বলছে, জেলা পরিষদ নদীর খেয়াঘাট ইজারা দিয়েছে। সেটি রাতারগুলের আওতায় পড়ে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাতারগুল জলারবনে ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন স্থানে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করেছে বন বিভাগ। ভূমির রকম পরিবর্তন করে তৈরিকৃত লেকে অন্তত ৩০টি নৌকা রেখে পর্যটকদের কাছ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী পথে নৌকায় গিয়ে বনের পাশে নেমে প্রথমেই পর্যটকদের গুনতে হচ্ছে সাড়ে ৮শ’ টাকা। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের ইজারাদার ও বন বিভাগ একে অপরকে দোষারোপ করছে।
সংরক্ষিত এই বনে ঢোকার জন্য ৩টি ঘাট রয়েছে। এরমধ্যে চৌরঙ্গী ঘাট, ফিরিঙ্গিঘাট ও মটরঘাট। সম্প্রতি মটরঘাটটি (খেয়াঘাট) ইজারা দিয়েছে সিলেট জেলা পরিষদ। কিন্তু ওই ঘাটের ২ কিলোমিটার এলাকা ইজারার আওতায় এনে সাইনবোর্ডে টানিয়ে দিয়েছেন ইজারাদার। মোটরঘাট দিয়ে নদীপথে যাতায়াতকারী পর্যটকদের বনের পাশে নেমেই ৮শ’ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। এরপর পায়ে হেঁটে বনের ভেতরে ঢুকে জলাশয়ে রাখা নৌকা দিয়ে ঘুরতে আরও সাড়ে ৭শ’ টাকা দিতে হয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।