যুক্তরাষ্ট্র অফিস: এই তো সেদিন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বড় ধরনের সামরিক সমাবেশ ঘটিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরুর নির্দেশ দেন তার বাহিনীকে, যা এখনও চলমান। দেখতে দেখতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখছে। এই যুদ্ধে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাইডেন প্রশাসন মিত্র ইউক্রেনের দিকেই শুধু নজর রাখছে তা নয়, বরং তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে আগামীতে সম্ভাব্য সংঘর্ষের বিষয়টি তাদের ভাবিয়ে তুলছে।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়াবে কিংবা তাইওয়ানে সেনা পাঠাবে কিনা সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। যেমনটি আফগানিস্তান ও ইরাকের ক্ষেত্রে হয়েছিল। এমনকি গত এক বছর ধরে ইউক্রেনে ঢালাও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে দেশটি।
বিশ্বরাজনীতির পরিস্থিতি অনুযায়ী আমেরিকার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ চীনকে নিয়ে। আসল খেলাটা হচ্ছে স্বায়ত্তশাসিত ভূখণ্ড তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে। তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হিসেবে দাবি করে বেইজিং। আর তাইওয়ান বলছে তারা স্বাধীন রাষ্ট্র। এই ফাটলের মাঝেই প্রবেশের সুযোগ পেলো যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত কয়েক বছরে ধরে তাইওয়ানে মার্কিন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আসা-যাওয়া এবং দ্বীপটির সরকারের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি নিয়ে যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকারের। ফলে ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।