দুর্ঘটনা মোকাবিলার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকা জরুরি - BANGLANEWSUS.COM
  • ২৮শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

দুর্ঘটনা মোকাবিলার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকা জরুরি

newsup
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
দুর্ঘটনা মোকাবিলার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকা জরুরি

সম্পাদকীয়: রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি ১২ তলা আবাসিক ভবনে রোববার সন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত লিফটের শর্টসার্কিট থেকে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় ৪ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর আগে আতঙ্কিত হয়ে ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর থেকে চারজন লাফিয়ে নিচে পড়েন, যাদের মধ্যে এ সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

দেশে অগ্নিকাণ্ডজনিত দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এতে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রচুর প্রাণহানিও ঘটছে। তারপরও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন হচ্ছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত। এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ, উদ্ধার প্রক্রিয়া ও জনসচেতনতা যতটুকু থাকা দরকার, তার অধিকাংশ নেই বললেই চলে। অন্যদিকে রাজধানীর প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষের নিজস্ব বাড়ি নেই। তারা অন্যের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকেন। সেসব বাড়িঘরে কী ধরনের নির্মাণসামগ্রী ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা তাদের জানা থাকার কথা নয়। ফলে তারা নিজেদের অজান্তেই দুর্ঘটনার শিকার হন। এছাড়া আজকাল রেডিমেড ফ্ল্যাট কেনার চল হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় কোনো ক্রেতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়, সেগুলোয় যথাযথ মানের নির্মাণসামগ্রী ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে কি না। আমরা মনে করি, কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণে কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে, তার একটা বিধিবদ্ধ নিয়ম বা বাধ্যাধকতা থাকা উচিত। আর এ কাজটি সরকারকেই করতে হবে।

বস্তুত সরকার প্রণীত ‘বিল্ডিং কোড’ মেনে ভবন নির্মাণ, রাজউকের অনুমোদিত নকশা বাস্তবায়নে কড়াকড়ি, নির্মিত ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ভবনের রেট্রোফিটিং ও একটি ‘কনটিনজেন্সি প্ল্যান’ (আকস্মিক দুর্ঘটনা মোকাবিলায় পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা) তৈরি করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশে অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও এ পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।