ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের খবরে শনিবার মধ্যপ্রাচ্যকে আলোড়িত করেছে। এটিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য একটি প্রতীকী ব্যর্থতা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। নেতানিয়াহু, যিনি ইরানের হুমকিকে নিজের কূটনীতির অগ্রাধিকার ও ব্যক্তিগত ধর্মযুদ্ধে পরিণত করেছেন।
এই অগ্রগতি এক বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনার ফলে এসেছে। শুরুতে বাগদাদ এবং সম্প্রতি চীনে দুই দেশের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই চুক্তি ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকেও উত্তপ্ত করেছে। যা দেশটির বিশৃঙ্খল সময়ে আরও বিভাজনের প্রতিফলন।
চুক্তির আওতায় ইরান ও সৌদি আরব দুই মাসের মধ্যে দূতাবাস চালু করবে এবং সাত বছর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকার পর তা পুনঃস্থাপন করবে। গত কয়েক বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এই এই ঘটনা। সুন্নি সৌদি আরব ও শিয়া ইরানের ক্ষমতার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে পরিণত হওয়া সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলো এই ঘোষণায় সতর্কতার সঙ্গে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে। ইসরায়েলে এই চুক্তি হতাশার জন্ম দিয়েছে–একই সঙ্গে অনেকে নেতানিয়াহুর দিকে আঙুল তুলছেন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।