পুলিশের চাকরিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীরাও – BANGLANEWSUS.COM
  • ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

পুলিশের চাকরিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীরাও

newsup
প্রকাশিত মার্চ ১৫, ২০২৩
পুলিশের চাকরিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীরাও

বিশেষ প্রতিবেদন: পুলিশের পেশা অনেকে ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নানা কারণে সেটা নারীদের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করা হতো। তবে এই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা। ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনা থেকে শুরু করে চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উন্মোচনসহ পুলিশের সর্বত্র সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তারা দক্ষতার প্রমাণ রেখে সুনাম অর্জন করছেন।

১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ উদ্যোগে ১৪ জন নারীর যোগদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে নারীদের পথচলা শুরু। বর্তমানে দেশের পুলিশ বাহিনীতে বিভিন্ন ইউনিটে বিভিন্ন পদে ১৫ হাজার ৫১৬ জন নারী কাজ করছেন, যা পুরো পুলিশ বাহিনীর সদস্যের আট ভাগের বেশি (৮ দশমিক ১৮ শতাংশ)।

পুলিশ সদর দফতরের ইউএন ডেস্কের গত ১ ফেব্রুয়ারির (২০২৩) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন ১৫১ জন নারী সদস্য। জাতিসংঘ সদর দফতর, কঙ্গো, মালি, দারফুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন তারা। মিশনগুলোতে স্থানীয় নারী ও শিশুদের আপন করে নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।
পুলিশিং সেবা বেছে নিয়েছেন নার্গিস আক্তার ঝরা। রাজধানীর কলাবাগান থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত তিনি। ঝরা জানান, প্রথাগত ধারণা ভেঙে একজন নারীও যে রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালনে যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারেন, সেটা তিনিসহ অসংখ্য নারী পুলিশ সদস্য দেখিয়েছেন। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে।

পুলিশে সার্জেন্ট হিসেবে নারীদের অন্তর্ভুক্তি বেশি দিনের নয়। ২০১৪ সালে এই সার্জেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ২০১৫ সালের দিকে সার্জেন্ট পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৮ জন নারী সার্জেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদেরই একজন হাসিনা বেগম। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কাজ করছেন শুরু থেকেই। ভোরে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের নানা কাজ করেন। পরে ছুটে যান রাস্তায়, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনে। বর্তমানে মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনে কর্মরত এই নারী পুলিশ সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আসাদগেট, গণভবন, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড ও শ্যামলীসহ আশপাশের সিগন্যালগুলোতে রুটিন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।