ইউক্রেনে অস্ত্র দিয়ে বার্তা দিতে চাচ্ছে ন্যাটো - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১:৫৩, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ইউক্রেনে অস্ত্র দিয়ে বার্তা দিতে চাচ্ছে ন্যাটো

newsup
প্রকাশিত মার্চ ১৮, ২০২৩
ইউক্রেনে অস্ত্র দিয়ে বার্তা দিতে চাচ্ছে ন্যাটো

লন্ডন প্রতিনিধি: ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব আসন্ন তা সবাই জানে। সবাই জানে, রাশিয়ার পরবর্তী আক্রমণ ঠেকাতে এবং হারানো ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের প্রচুর ট্যাংক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। সবাই এটাও জানে, আজ হোক বা কাল, ইউক্রেনের প্রয়োজন ঠিকই মেটাবে পশ্চিমা দেশগুলো।

সে কারণেই পশ্চিমাদের ‘তোমার পরে! না, তোমার পরে!’ করার সবশেষ পর্ব পরাজিত হয়েছে। ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত। কিন্তু এটি যেভাবে এসেছে তা ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণার কারণ হয়েছে, পশ্চিমা ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়া আর কারও উপকারে আসেনি। ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে কেউই সবশেষ নাটকের শেষে ভালোভাবে বের হতে পারেনি। তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপভাবে আবির্ভূত হয়েছে জার্মানি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে সহায়তা পাঠানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জার্মানি। এর জন্য তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের অধীনে জার্মান সরকারকে অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত দেখা গেছে।

শলৎজের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রভাবিত হয়েছেন। গত জানুয়ারিতে ইউক্রেনকে সাঁজোয়া যান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর। তবে সেটি এসেছিল ফ্রান্সের একই ধরনের পদক্ষেপ ঘোষণার পরে।

রাশিয়ার আক্রমণের সপ্তম দিন থেকেই জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাংক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিল ইউক্রেন। কিন্তু জার্মানি তাতে রাজি হয়নি। এমনকি অন্য দেশগুলোকেও তাদের তৈরি ট্যাংক পুনঃরপ্তানির অনুমতি দেয়নি।

গত ২০ জানুয়ারি জার্মানিতে থাকা মার্কিন ঘাঁটি রামস্টেইনে জড়ো হয়েছিলেন পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। সেখানে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তির আশা করা হয়েছিল। কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর সেদিনও রাজি হননি। তবে মিত্রদের পাশাপাশি দেশে নিজের জোটের ভেতর থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে গত ২৫ জানুয়ারি অবশেষে সম্মতি দেন শলৎজ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।