উঁচুতে টং দোকান - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১১:১২, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

উঁচুতে টং দোকান

newsup
প্রকাশিত মার্চ ২৩, ২০২৩
উঁচুতে টং দোকান

ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাজার থেকে চার কিলোমিটার দূরে মনোমুগ্ধকর চন্দ্রনাথ পাহাড়। এর উচ্চতা আনুমানিক ১ হাজার ২০ ফুট। পাহাড়ের ওপরে হাজারো প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছপালা। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য প্রকৃতিপ্রেমীদের বিমোহিত করে।

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ওঠার জন্য রয়েছে দুটি পথ। উঁচু-নিচু ভাঙা সিঁড়ি বেয়ে চূড়ায় উঠতে ন্যূনতম দুই ঘণ্টা লাগে। প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটার পর ৯০০ ফুট ওপরে পাহাড়টির অন্যতম আকর্ষণ শ্রী শ্রী বিরূপাক্ষ মন্দিরের দেখা মেলে। মন্দিরের সামনে হাজারও মানুষের আবেগ-অনুভূতি চিঠির আকারে ঝুলে আছে গাছের ডালে। এখানে প্রতিবছর শিবরাত্রিতে বিশেষ পূজা-অর্চনা হয়। ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাধু-ভক্তরা এসে অংশ নেন এতে। পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়।

বিরূপাক্ষ মন্দির থেকে ১৫০ ফুট দূরেই শ্রী শ্রী চন্দ্রনাথ মন্দির। এটি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। মন্দির থেকে ১৫০ ফুট রাস্তার প্রায় ১০০ ফুট খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে হয়। ফলে সাবধানতার মার নেই!

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে একদিকে সমুদ্র আর অন্যদিকে পাহাড়ি নির্জনতা বেশ উপভোগ্য। উঁচু-নিচু পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যের মুগ্ধতায় প্রশান্তিতে মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়। ভ্রমণে দর্শনার্থীদের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে পাহাড়ের ওপর রয়েছে কয়েকটি টং দোকান। ভ্রমণপিপাসুদের তৃষ্ণা মেটাতে এগুলোর জুড়ি মেলা ভার।
ভূপৃষ্ঠ থেকে হাজার ফুট উঁচুতে টং দোকানদার মো. আবুল কাশেম (৬৫) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৯৯১ সাল থেকে এখানে দোকানদারি করি। প্রায় ৩২ বছর হয়ে গেলো। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে চলে আসি। সন্ধ্যায় ফিরে যাই। জীবনের বেশিরভাগ সময় এই পাহাড়ে কেটেছে আমার। এখানকার আশেপাশের অনেক গাছপালা আমার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে। যতদিন এই পাহাড়ে ওঠার শক্তি সামর্থ্য থাকবে ততদিন এখানে দোকান করে যাবো।’

দোকানি আরও জানান, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ব্যবসা করার সবচেয়ে ভালো সুবিধা হলো বাকি দিতে হয় না। এখানে সবসময় নতুন নতুন পর্যটক আসে। সবাই নগদ টাকা দিয়ে কিনে খায়। তার দোকানে পাহাড়ি ফলমূল, হালকা নাশতা ও তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পানীয় বিক্রি করা হয়। তবে শীতকালে চা-ও পাওয়া যায়। এখানে সবকিছুর দাম স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে ৫-১০ টাকা বেশি রাখতে হয়। কারণ বাড়তি মজুরি দিয়ে জিনিসপত্র পাহাড়ে ওঠাতে হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।