রায়হান আহমেদ তপাদার : ইরান ও সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী দুই প্রতিবেশী দেশ, যারা আঞ্চলিক আধিপত্য বজায় রাখতে যুগ যুগ ধরেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে ঐতিহাসিক বিভেদ জাতিগত পরিচয়ের ইরান পারসিক আর সৌদি আরব জাতিসত্তার তীর্থ। এ ছাড়া তাদের দীর্ঘদিনের শত্রুতার অন্যতম ভিত্তি দুদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় পার্থক্য। এ দুটো দেশ ইসলাম ধর্মের মূল দুটো শাখার শুধু অনুসারীই নয়, দুই শাখার প্রধান নেতাও বটে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক যখন তলানিতে, তখন দেশটির প্রতি আবারও একাত্মতা প্রকাশ করল চীন।
পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরান, রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক গত এক বছরে বেশ খানিকটা বদলে গেছে ইউক্রেন হামলাকে কেন্দ্র করে। রাশিয়া এই যুদ্ধে ইরানের অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে পশ্চিমারা নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। সম্প্রতি মার্কিন আকাশে বেলুন ওড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চীনকে দোষী করছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। শি বলেন, একতরফাবাদ এবং আধিপত্যবাদ প্রতিরোধ করতে এবং সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় ইরানকে সমর্থন করে চীন। শি চিনপিং বলেন, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এবং ইরানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ক্ষেত্রে বহিঃশক্তি যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার বিরোধিতা করে পেইচিং। বিশ্ব, সময় ও ইতিহাস বদলে যাওয়ার এই জটিল পরিস্থিতিতে ইরান ও চীন একে অপরকে সাহায্য করছে, একাত্মতা এবং সহযোগিতায় একসঙ্গে কাজ করেছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি যতই বদলে যাক না কেন, ইরানের পাশে চীন থাকবে বলে জানিয়েছেন শি চিনপিং। বিগত ২০ বছরে ইরানের কোনো প্রেসিডেন্ট চীন সফর করেননি।
এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট রাইসি চীন সফর করছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন নতুন করে বাক্যুদ্ধ শুরু হয়েছে। চীন ও ইরানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আগে থেকেই বেশ শক্তিশালী। এ জন্য ২০২১ সালে দুই দেশ ২৫ বছরের জন্য স্ট্র্যাটেজিক কো-অপারেশ চুক্তি ও স্বাক্ষর করেছে। এরই মধ্যে কৃষি, বাণিজ্য, পর্যটন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ-ত্রাণ, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার বিষয়ে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইরান সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশ। দেশ দুটির রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আধিপত্য বিস্তারের আকাক্সক্ষা ও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব কেবল পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা ছড়িয়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনাতেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক মেরামতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো বহু দিন ধরেই ইরানকে দেখে আসছে এমন একটি দেশ হিসেবে যারা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। সৌদি নেতৃত্ব ইরানকে দেখছে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে। আর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তো ইরানের প্রভাব ঠেকাতে প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা নিতেই প্রস্তুত। অবশ্য, পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে যদি শেষ পর্যন্ত সরাসরি যুদ্ধ লেগে যায়, তাহলে সেটা হবে দুর্ঘটনাবশত, তাদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কমই। এদিকে ইরানের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস আচরণের কারণে ইরানকে মূল্য চোকানোর ব্যবস্থা করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু ইরান বলছে, কারও বা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমেরিকা নাক গলালে তার পরিণতিও ভালো হবে না।
ইরান-সৌদি দ্বন্দ্ব আর মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার সুযোগে এরই মধ্যে তেলের রেকর্ড দরপতন প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। যদি ইরান-সৌদি দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকে তবে তেলের বাজার আরও হ্রাস পাবে বলে প্রতীয়মান হয়। এতে করে কার্যত লাভবান হবে অপরাপর রাষ্ট্রগুলো, ক্ষতিগ্রস্ত হবে মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক অর্থনীতি। সৌদি আরবের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এরই মধ্যে বাহরাইন, আরব আমিরাত, জর্ডান ও মিসর ইরানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে তুরস্ক ও কাতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ইরানের। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বিভক্তি খুব স্পষ্ট হয়ে গেছে। সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার একাট্টা হওয়ার কারণে সৌদি আরব বিপাকে পড়েছে, বিষয়টি রিয়াদকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চোখে ইরানকে হুমকি হিসেবে দাঁড় করানোয় ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে সঙ্গে নিয়ে তারা বেশ সফলও হয়েছে। এরই মধ্যে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক ধরনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, যা মূলত পৃথিবীর বৃহৎ শক্তির বিভক্তিকেই নির্দেশ করে। সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনার মাত্রা বাড়লেও, দেশ দুটির মধ্যে আঞ্চলিক বৈরিতার ইতিহাস বেশ পুরনো। মধ্যপ্রাচ্যে এবং বাইরে দুটি দেশেরই রয়েছে প্রভাবশালী নিজস্ব বন্ধু এবং শত্রুর আলাদা বলয়। সুন্নী প্রধান রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবকে ইসলাম ধর্মের জন্মভূমি বলা হয়। ইসলামি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই এ দেশে অবস্থিত। বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল রপ্তানিকারী এবং তেল রপ্তানিকারী দেশগুলো অন্যতম শীর্ষ ধনী রাষ্ট্র সৌদি আরব। এবং ক্রমে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
এর বিপরীতে সৌদি আরবের অভিযোগ ছিল, হুতিদের ইরান সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে, যদিও তেহরান সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। আবার সৌদি আরব ইরানের মিত্র সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের উচ্ছেদ চায়। সৌদি আরবের আশঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান আধিপত্য বিস্তার করবে, এবং এ অঞ্চলে শিয়াদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ার বিষয়টির বিরোধিতা করে আসছে দেশটি। ১৯৭৯ সালে ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র কায়েম হয়, রাজতন্ত্র উৎখাত হয় এবং ধর্মীয় নেতারা আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। ইরানে এ অঞ্চলে প্রধান শক্তি এবং তাদের প্রভাব গত এক দশকে লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ইরাকে সাদ্দাম হোসেন উৎখাত হওয়ার পর। ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দিচ্ছিল তার শাসনের বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এবং ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় সুন্নি জিহাদিদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। ইরান বিশ্বাস কওে, সৌদি আরব লেবাননকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। ইরানের সমর্থনপুষ্ট হেজবুল্লাহ নামের শিয়া আন্দোলন লেবাননের সরকারের অংশ। ধারণা করা হয়, ইরানের কাছে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে। ১৯৫৩ সালে সিআইএর সহায়তার এক অভ্যুত্থানে ইরানের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হন। ইসলামি বিপ্লব এবং তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে জিম্মি করার ঘটনা দুদেশের সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে সৌদি আরব সব সময়ই মার্কিন মিত্র ছিল, তবে বারাক ওবামার সময় ইরানের ব্যাপারে নীতির কারণে এ সম্পর্ক শীতল হয়েছিল, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি ইরানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউস এবং সৌদি রাজপরিবার পরস্পরের জন্য লাল কার্পেট পেতে দেয়।
একইভাবে ট্রাম্প বা তার প্রশাসন সৌদি আরবের কট্টর ইসলামের সমালোচনা করেননি যেভাবে তারা ইরানকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত করে থাকেন। অন্যদিকে রাশিয়া সৌদি আরব ও ইরান উভয়েরই মিত্র, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও দুদেশের কাছেই রাশিয়া উন্নত অস্ত্র বিক্রি করেছে। তেহরান এবং রিয়াদের এই বিবাদে রাশিয়া কোনো একটি পক্ষ নিয়েছিল বলে মনে হয় না, তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার জন্য তৈরি এমন আভাস দিয়েছিল। সোভিয়েত সাম্রাজ্যের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব কমে গেলেও সম্প্রতি রাশিয়া এ প্রভাব বাড়িয়েছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান হামলার ফলেই সেখানকার গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি বাশার আল-আসাদের পক্ষে চলে আসে। সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরোধিতার ক্ষেত্রে সুন্নি শক্তি হিসেবে তুরস্কের অবস্থান সৌদি আরবের মতোই। সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের শক্তিশালী সম্পর্ক আছে। তবে ইরানের ব্যাপারে তাদের গভীর অবিশ্বাস সত্ত্বেও তারা কুর্দিদের প্রভাব ঠেকাতে একটা মিত্রতা গড়ে তুলেছে। কারণ দুটি দেশই কুর্দিদের একটি হুমকি হিসেবে দেখে। আরব বিশে^ ইসরায়েলের সঙ্গে শুধু মিসর ও জর্ডানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। ইরান ও ইসরায়েল হচ্ছে পরস্পরের চরম শত্রু। ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদি নেজাদ ইসরায়েলকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া ঠেকাতে। তিনি এটাও বলেছেন, ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে তাদের সঙ্গে কিছু আরব দেশের একটা সহযোগিতা সম্পর্ক রয়েছে। এসবের মধ্যে ইরান ও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আকস্মিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যস্থতা করেছে চীন। বিষয়টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।
এর বাইরে কূটনৈতিক ঐকমত্যের ফলে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানার এবং ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে তাদের সামনে দিয়েই চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদির কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়টি ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। ইরান ও সৌদির যে চুক্তি হয়েছে, তাতে চীনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টিই ওয়াশিংটনের জন্য উদ্বেগের। ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে ২০১৫ সালের একটি পারমাণবিক চুক্তি নবায়ন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই বছর ধরে এ চুক্তিতে তেহরানকে ফেরানোর চেষ্টা করছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওয়াশিংটনের ব্যর্থতার পর ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদার করেছে। এ পরিস্থিতিতেই সৌদি আরবের সঙ্গে তেহরান সম্পর্ক জোড়া লাগাতে একমত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের ইরান বিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নাইসান রাফাতি বলেন, ইরানের প্রশ্নে বর্তমান মধ্যস্থতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো হলো কি না, তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের অস্বস্তির দিকটি হলো, ইরানের এই চুক্তি এমন এক সময়ে হলো, যখন ওয়াশিংটন ও পশ্চিমা অংশীদাররা দেশটির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তেহরান এখন ভাবতে পারবে, তাদের একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা থেকে ইরান এখন বেরিয়ে যেতে পারবে এবং বড় শক্তিধর দেশকে তাদের পাশে পাবে। যা হোক, শেষ পর্যন্ত ইরান-সৌদির সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি স্থিতিশীলতার জন্য কী বার্তা নিয়ে আসে সেটাই দেখার বিষয়।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।